1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে টাটা’র নতুন শো-রুম উদ্বোধন ধারের টাকা শোধ না করার কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ান নারী ফুটবলারদের ফুলেল শুভেচ্ছা ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন কারখানা সিলগালা,বিপুল পরিমান পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভূল্লী থানার নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় কে এ নিলয়ের চলচ্চিত্র ‘বউ’ এর শুভ সূচনা! লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ে তোলাই অন্তবর্তী সরকারের প্রধান কাজ – ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে ১ম আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

হাজারো মানুষের জীবন বাচাঁলো মানবতার সংগঠন তালতলী ব্লাড ডোনার ক্লাব

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০
  • ২৫৪ জন পড়েছেন

বরগুনা প্রতিনিধিঃআজ ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদান দিবস তার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালন করে আসছে।

রক্ত কি?
রক্ত হল উচ্চশ্রেণীর প্রাণিদেহের এক প্রকার কোষবহুল, বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবণাক্ত, আঠালো, ক্ষারধর্মী ও লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ যা হৃৎপিন্ড, ধমনী, শিরা ও কৈশিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হয়। রক্ত একধরনের তরল যোজক কলা। রক্ত প্রধানত দেহে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিবাহিত করে। রক্ত হল আমাদেরে দেহের জ্বালানি স্বরূপ। মানবদেহে শতকরা ৭ ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে মানবদেহে ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে)। রক্তের PH সামান্য ক্ষারীয় অর্থাৎ ৭.২ – ৭.৪। মানুষের রক্তের তাপমাত্রা ৩৬ – ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড)
শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ নষ্ট হলেও মানুষ কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু রক্তের অভাবে বা রক্তে কোনো সমস্যা হলে মানুষ সরাসরি কুপোকাত।

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জরুরি মুহূর্তে অনেকেরই রক্তের প্রয়োজন হয়। টাকা থাকলেও নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত না পাওয়ার ফলে মারা যান অনেক মানুষ। সিজার, থ্যালাসেমিয়া, ডায়ালাইসিস, ক্যান্সার, জরুরি অপারেশনে রক্তের দরকার হচ্ছে মানুষের। জরুরি মুহূর্তে তাদের পাশে মানবতার হাত বাড়িয়ে রক্ত সংগ্রহ ও রক্তদানের মতো মহৎ কাজ করে যাচ্ছে তালতলী ব্লাড ডোনার ক্লাব

এ বিষয় তালতলী ব্লাড ডোনার ক্লাবের উদ্দোক্তা
ফয়সাল আহমেদ বলেন। তালতলী ব্লাড ডোনার ক্লাব একটি স্বেচ্ছাসেবী এবং অরাজনৈতিক সংগঠন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো কাজের মাধ্যমে চাইলেই যে কোনো কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব। আর এই প্রত্যয় নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে তালতলী ব্লাড ডোনার ক্লাবের পথচলা, আজও অব্যাহত আছে।
….
সংগঠনের পক্ষ থেকে ডোনার ম্যানেজ করে দেওয়া হচ্ছে। এবং অন্যদের রক্তদানে উৎসাহিত করছে। এখন দেশে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস এবং তা খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই সময়ে সবারই উচিৎ নিয়ম নির্দেশনা মেনে চলাচল করা । অনেক রোগী আছে যাদের রক্তের প্রয়োজন হয়। অনেক সিরিয়াস রোগী থাকে যারা রক্তের অভাবে মারা যেতে পারে। তাদের কে রক্তদান করাও আমাদের সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ব। আমরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের উচিৎ এই পরিস্থিতিতেও অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়ানো।
….
তালতলী উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ ফাইজুর রহমান বলেন, প্রত্যেক রক্তদাতাই একজন বীর আর আপনি যদি একজন মানুষকে একবার রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, তার মানে কিন্তু শুধু ১ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করা নয়, এর মাধ্যমে আপনি হয়তো একজন নিয়মিত রক্তদাতা সৃষ্টি করতে পারবেন।

একজন মানুষ তার জীবনে সর্বোচ্চ ১৭২ বার রক্তদান করতে পারেন। তারমানে দাঁড়াচ্ছে, একজন রক্তদাতা সৃষ্টির মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ১৭২ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করতে পারবেন, মানে ১৭২ জন রোগীর জীবনরক্ষক হতে পারবেন। আর যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।

প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়, অথচ এর মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া এখনো বিশ্বের অনেক দেশে মানুষের রক্তের চাহিদা হলে নির্ভর করতে হয় নিজের পরিবারের সদস্য বা নিজের বন্ধুদের রক্তদানের ওপর.

আর অনেক দেশে পেশাদারি রক্তদাতা অর্থের বিনিময়ে রক্ত দান করে আসছে রোগীদের। অথচ বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।

 

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page