ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই।
রোববার (১৫ জুন) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি….. রাজিউন)
এক শোক বার্তায় তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেব ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালেহ আহমেদ ও সাধারাণ সাম্পাদক মাইনুল ইসলাম।
তারা বলেন, সাবেক সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
রাত পৌনে ৪টার দিকে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের এপিএস বদরুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পৌনে ৩ টার দিকে (২টা ৪৫ মিনিট) তিনি (স্যার) ইন্তেকাল করেছেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু।
গত ০৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কামরানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিন রাত থেকে প্রথমে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হলেও ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়াতে রোববার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার দেহে করোনাজয়ী কারো ‘এ’ পজিটিভ রক্তের সংগৃহীত প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।
তার স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর পরই বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। রোববার মধ্যরাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মারা যান।
এর আগে, গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানেরও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
Leave a Reply