সবুজ সরকারঃ
ডিপ্রেশন কথাটি অধিক প্রচলিত একটি শব্দ,এর অর্থ বিষন্নতা দূচিন্তা টেনশন ইত্যাদি আমাদের সমাজে তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধা অনেক মানুষ এই ডিপ্রেশন নামক রোগটিতে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত হবার বিভিন্ন কারণ থাকে যেমনঃ কেউবা নিজের অবস্থান নিয়ে , কেউবা তার ব্যর্থ সম্পর্ক নিয়ে, কেউবা প্রেম ঘটিত কারণে ডিপ্রেশনে ভুগে, কেউবা ডিপ্রেশনে ভুগে তার পারিবারিক কারণে|
শরীরের মতো মনের অসুখ করাটাও স্বাভাবিক৷ যাকে আমরা ‘ডিপ্রেশন’ বলধ থাকি৷ কিন্তু শরীর খরাপ করলে আমরা যেভাবে স্বাভাবিক ভাবে আলোচনা করি, মনের অসুখ করলে তেমনটা করি না৷ ৷
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সমস্ত তরুণরা আত্মহত্যা করছে বা আত্মহত্যার চেষ্টা করছে – তাদের অধিকাংশই ডিপ্রেশনের শিকার৷ শুধুমাত্র কারুর সঙ্গে সেই কষ্ট, সেই বেদনা নিয়ে কথা বলতে না পারার কারণেই তারা হারিয়ে যাচ্ছে৷
ডিপ্রেশন যেমন আমাদের অনের মানুষের জীবণ কেড়ে নেই ঠিক তেমনি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবার কিছু উপায় রয়েছে।
ডিপ্রেসন থেকে বাঁচার জন্য যা করা যেতে পারে :-
১) ভুলে যাওয়া আর ক্ষমা করে দেওয়া এই দুটো শব্দ ডিপ্রেশন মুক্ত জীবনের চাবিকাঠি।
২)দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন |
৩) সুখ-দুঃখ টাকার এপিঠ আর ওপিঠের মতো।এই দুটোকে মেনে নিতে হয়। যেখানে খুশি হারিয়ে যায় সেখান থেকে খুশির পথ খুঁজে নিতে হয়।
৪) যে সকল গানগুলো মনে প্রফুল্ল জোগায় সেই সকল গানগুলো শোনার চেষ্টা করুন।অথবা আপনি মুসলিম হলে কোরআন তেলওয়াত করতে পারেন বা শুনতে পারেন |
৫) নিজের পছন্দমতো সবকিছু সব সময় হবে আশা করা বৃথা। সেই জন্য পছন্দমতো যদি না হয়, তাহলে ইগোকে ব্রেক করে সবকিছুকে মেনে নেওয়া দরকার।(সংগৃহিত)
৬) যত সাধারণ হওয়া যাবে ততই ডিপ্রেশন মুক্ত থাকা যাবে।
৭) কাউকে মনে পড়লে বা মিস করলে সরাসরি ফোন দিয়ে কথা বলুন, নিজের ইগোকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন |
৮) মূল্যবোধকে ও নৈতিকতার সঙ্গে নিয়ে চললে ডিপ্রেশনকে কমানো যাবে।(সংগৃহি)
৯) তর্কে তর্ক বাড়ায় সেই জন্য প্রয়োজনে হার স্বীকার করা ভালো। এই হার হার নয়, হার মনি সৃষ্টি করে।(সংগৃহিত)
১০) রোগ আসবে কিন্তু রোগী হওয়া যাবে না। রোগ দেহের হয়, চিকিৎসা করা দরকার কিন্তু খেয়াল রাখবেন মন যেন রোগাক্রান্ত না হয়ে যায়।
১১) শুভ ভাবনার অভ্যাস করা দরকার।(সংগৃহিত)
১২) আপনার ভালো লাগে এমন স্বাস্থ্যকর খাবার খান। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান।বিশ্রাম নিতে নিতে মজার কিছু ভিডিও দেখুন বা বই পড়ুন |(সংগৃহিত)
১৩) সব সময়নৈতিকতার মাধ্যমে আনন্দে থাকার চেষ্টা করবেন।(সংগৃহিত)
১৪) একা সময় কাটালে ডিপ্রেসন বেশি হয় তাই বিষন্নতার সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে অথবা বন্ধুদের সাথে সময় কাটান |
১৫) অন্ধকার আমাদেরকে হতাশাগ্রস্থ করে গড়ে তুলে।অন্ধকার থেকে সবসময় দূরে থাকুন। (সংগৃহিত)
১৬) নিজেকে সবসময় প্রাধান্য দিন নিজের কাছে নিজেকে মুল্যহীন মনে করবেন না ।অল্পতেই খুশি থাকার চেষ্টা করুন অধিক পরিমানের আশা করবেন না। নিজের যেমন আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার থাকুন।
১৭)নিজেকে কখনো একা ভাববেন না। এই ভাবনা থেকেই অনেকের বিষন্নতার সৃষ্টি হয়
১৮)মনে রাখবেন আপনি ভালো থাকাটা আপনার উপর নির্ভর করে ভালো থাকাটা আপনার উপর নির্ভর করে। তাই সবসময় নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে ভালো থাকার জন্য ।
আপনার পরিবার বা বন্ধুমহলে অন্য কোনো বিষণ্নতাগ্রস্ত মানুষ থাকলে তাদের সাহায্য করতে উপরে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো আবার পড়ুন।
Leave a Reply