লকডাউন ঝাপিয়ে একদিন সবকিছু স্বাভাবিক হবে! রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্যে নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধ করব সেদিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এই বুঝি দেরি হয়ে গেল ভেবে না খেয়েই জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে সকাল ৭ টার বাস ধরতে দৌড় দিবো। হয়তো বাস মিস হবে কিংবা লোকাল বাসে সিট না পেয়ে ঝুলতে ঝুলতে ক্যাম্পাসে যাব।আধা ঘন্টারকরে রাস্তা ঢাকার জ্যামের কল্যানে ১ম ক্লাস মিস করে হয়তো বসে থাকব আরো আধা ঘন্টা!
সেদিন বন্ধুদের আড্ডায় জমে উঠবে গোল টেবিলের আসর। কোন এক বন্ধু হয়ত সবার খাবারে ভাগ বসাবে কিংবা একজনের চিল্লানোতে সবার মাথা ধরে যাবে। লেট লতিফ বন্ধুটা সেদিন ও আসবে সবার শেষে, বিনিময়ে খাবারের বিল যাবে তার পকেট কেটে! আবার হয়ত দিন শেষে বাস ধরতে এক দৌড় দিব দম বন্ধ করে! তবুও,তবুও আমার সেসব দিন চাইআবার ও এলার্ম বন্ধ করে আরো পাঁচ মিনিট বেশি ঘুমাতে চাই আমি।
রাস্তার মোড়ে তখন মাস্কের বদলে বিক্রি হবে গোলাপ, সিন্ডিক্যাট করে একেক টা গোলাপ তারা বিক্রি করবে ১০০ টাকা করে! তবু্ও আমি আমার জমানো টাকা থেকে একটা গোলাপ কিনবো। গোলাপ টা হাতে নিয়ে পুরো শহর ঘুরে বেড়াব যেন সবকিছুই প্রথম বারের মত দেখছি আমি। কোন যুগল হয়তো হেটে যাবে হাতে হাত রেখে আর পাশেই কোন বয়স্ক চাচী বলে বসবে 'এদের জন্যেই দুনিয়া ধ্বংস হই যাইতেসে, লাজলজ্জা সব উইঠা গেসে দুনিয়ার'তন!'
আবার ও শহর জুড়ে বৃষ্টি হবে, রাস্তার পাশে সবাই বৃষ্টি থেকে বাঁচতে একটু ছাদ খুঁজবে,দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবে বৃষ্টির শেষ ফোঁটাটার জন্যে! আমি সেই বৃষ্টি গায়ে মাখিয়ে ঘুরে বেড়াব পুরো শহর,মুক্ত শহরে মুক্ত পাখির মত ঘুরে বেড়াব একটি কদমের আশায়!
লোকে পাগল বলুক, জ্বর আসুক, ঠান্ডা লাগুক; লাগুক না ; আর ভয় নেই! কোন ভয় নেই!আমি আজ মুক্ত! আমরা,আমরা সবাই মুক্ত!
লেখিকাঃ শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
You cannot copy content of this page