দিন দিন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশ এক অজানা গন্তব্যে যাচ্ছে। করোনার কারণে মানুষের মাঝে যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। যে কোনো মহামারিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হয়। এটা একটি বৈশ্মিক সমস্যা। সবাই মিলে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দুর্যোগ নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দিকনির্দেশনা আমাদের মানতে হবে। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ভয়কে জয় করতে হবে। সচেতনতা থাকলে, পরিবেশ ঠিক রাখলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব। অবহেলা নয়, কোনো অজুহাত সৃষ্টি নয়, রোগ-সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সব ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। উপসর্গ শনাক্ত হলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিন। করোনার প্রভাবে আমাদের যাপিত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বত্র এক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে; এ আতঙ্ক কাটছে না। সারা পৃথিবীতে কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনাভাইরাস ক্রমান্বয়ে দ্রম্নতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। লাখ লাখ মানুষ যেমন আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি হাজার হাজার মানুষ মারাও যাচ্ছে। করোনা গোটা পৃথিবীতে মহামারি আকার ধারণ করছে আর বাংলাদেশ এখন সে পর্যায়ে চলে গেছে । তাই আমাদের কোনো স্বস্তি নেই। আমরা বিপদমুক্ত নই। কেননা, বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতু্য বাড়ছে। আমাদের অসচেতনতার কারণেই করোনা নিয়ে আমরা বিপদমুক্ত নই।
আমাদের ভয় ও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। বাংলাদেশেই শুধু নয়, সারা পৃথিবীতে ভয়ভীতি, আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, তাই করোনার হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই আমাদের সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।এইমুহূর্ত থেকে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, কোনো ভাবে হেয়ালিপনা কাম্য নয়।
একই সঙ্গে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্ন নিয়মকানুনও। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী আক্রান্ত মানুষের মধ্যে যারা ‘৬০+ বয়সের বিভিন্ন ধরনের হেলথ ইস্যু দ্বারা যেমন ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ আরো অনেক কিছু’ তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া কোনো হেলথ ইস্যু ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত ১৪-৩০ দিনের মধ্যে ভাইরাস মুক্ত হয়ে যায়। তবে এটাও আবার নির্ভর করে ‘করোনা ভাইরাস পরিবারের’ কোনটা দ্বারা আক্রান্ত। অন্যথায় এটি ছাড়িয়ে যেতে পারে অতীতের সকল রেকর্ড। প্রাণহানি ঘটতে পারে লক্ষ থেকে লক্ষান্তর। তাই আমাদের অত্যন্ত জরুরি নিজেরা সুস্থ থাকি এবং অন্যকে সুস্থ রাখি।লেখক দোলনা আক্তার, আইন বিভাগ ১ম বর্ষ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
You cannot copy content of this page