1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কনকনে শীতে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতবস্ত্র পেলেন দুস্থরা উদীচী মচমইল সম্মেলনে সভাপতি আফির, সম্পাদক শীতেন্দ্র রাজশাহী ক্যান্ট: পাবলিকে উদযাপিত হলো বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শনী রাজশাহীতে বেগম খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  ভূল্লী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গুণীজন সম্মাননা বৈষম্যহীন রাজশাহী সংস্কৃতি পরিষদ গঠিত  ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটায় অভিযান,২ লাখ টাকা জরিমানা নিজ হাতে মাঠ পরিষ্কার করলেন জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের বীজ বিতরণ

নেত্রকোণার বারহাট্টার গর্ব কবি নির্মলেন্দু গুণের ৭৫ তম জন্মদিন আজ

মামুন কৌশিক নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
  • সময় : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০
  • ২৫৯ জন পড়েছেন

মামুন কৌশিক নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি :
আজ ২১ শে জুন ২০২০ নেত্রকোণা জেলার কৃতীসন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণের ৭৫ তম জন্মদিন। এই মহান কবির জন্মদিন উপলক্ষে বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম সহ বারহাট্টা উপজেলা ও নেত্রকোণা জেলার সর্বস্তরের মানুষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবেগী ভাষা, সহজ গাঁথুনি ও পরিচিত শব্দগুলোর নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁর কবিতা সকল শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত।১৯৪৫ সালের ২১ শে জুন তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা ও বর্তমানে নেত্রকোণা জেলা বারহাট্টার কাশবন গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নির্মলেন্দু গুণ নামে সবার কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। তার বাবা সুখেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী ও মা বিনাপনি। কবি মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে নতুন মা চারুবালার হাতে লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় তার। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম বারহাট্টা স্কুলে ভর্তি হন।

অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কবি প্রতিভার বিকাশ শুরু হয় নির্মলেন্দু গুণের। ১৯৬২ সালে দুই বিষয়ে লেটারসহ মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পান তিনি। তখন বাবা তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম’। এরপর কবি আইএসসি পড়তে চলে আসেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে। সেখান থেকে চলে আসার পর বাবার অনুরোধে ভর্তি হন নেত্রকোণা কলেজে। ১৯৬৪ সালে আইএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১১৯ জন প্রথম বিভাগ অর্জনকারীর মধ্যে নেত্রকোণা কলেজের একমাত্র তিনিই ছিলেন। পরে তিনি চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে। কিন্তু ভর্তির প্রস্তুতিকালে হঠাৎ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হলে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। পরে ঢাকার অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি ফিরে এসে আর ভর্তি হতে পারেননি। আবারো ফিরে আসেন গ্রামে।

১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বিএ পাশ করেন তিনি (যদিও বিএ সার্টিফিকেটটি তোলেননি তিনি। ১৯৬৫ সালে বুয়েটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া হয়নি তার। কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় মেট্রিক পরীক্ষার আগে। নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণের প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’। ১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ‘সাপ্তাহিক জনতা’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কোন এক সংগ্রামীর দৃষ্টিতে’। নিজের সম্পাদনায় বের করেন ‘সূর্য ফসল’ সংকলন। কাজ করেন আব্দুল্লাহ্ আবু সায়ীদের ‘কন্ঠস্বর’ পত্রিকায়। ৬ দফা আন্দোলন শুরু হলে কবি বঙ্গবন্ধুকে একটি কবিতা উৎসর্গ করেন। পরে সেটি ‘সংবাদ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে কবি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সহপাঠী হিসেবে পান মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে।

১৯৬৭ সালে কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবিদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৬৮ সালের ২৯ জুলাই হোটেল পূর্বাণীতে তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে সুযোগ পান তিনি। পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার পায় এ কবিতা পাঠের আসর। এ সুযোগ তাঁকে পাঠক ও কবি মহলে পরিচিতি এনে দেয়। ৬৯ এর প্রথম দিকে রেডিওতে কবিতা পাঠের আসরে ডাক পড়ে নির্মলেন্দু গুণের। এ সময় ঢাকায় তাঁর প্রচুর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। তিনি লিখতেন সংবাদ, আজাদ, পাক জমহুরিয়াত, জোনাকী প্রভৃতিতে।

১৯৭০ সালের ২১ জুলাই কবির ‘ফসল বিনাসী হাওয়া’ কলাম প্রকাশিত হয়। তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে পাঠ করেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘হুলিয়া’। ‘হুলিয়া’ তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’। কবি নির্মলেন্দু গুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কন্ঠস্বর, আহমদ রফিক সম্পাদিত নাগরিক, পরিক্রম ও জোনাকী ইংরেজী পত্রিকা পিপলস, গণকন্ঠ, সংবাদ ও দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাবাজার ও দৈনিক আজকের আওয়াজ পত্রিকায় কাজ করেছেন। তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আপন দলের মানুষ, ছড়ার বই সোনার কুঠার, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর ও আত্মকথা ১৯৭১, অনুবাদ করেছেন রক্ত আর ফুলগুলি। তার অন্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, না প্রেমিক না বিপ্লবী, কবিতা, অমিমাংসিত রমণী, দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী, চৈত্রের ভালোবাসা, ও বন্ধু আমার, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভুষার কাব্য, প্রথম দিনের সূর্য, দুঃখ করো না, বাঁচো, আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি, ও মুঠোফোনের কাব্যসহ আরও অনেক।

কর্মের স্বীকৃতিস্বরুপ কবি লাভ করেছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি। তিনি নিজ গ্রাম কাশতলায় ‘কাশবন বিদ্যা নিকেতন’ নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের সঙ্গে মানুষের নিত্য বিরোধ, তাই তিনি স্ববিরোধী কবিতায় বলেন, আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়ে ছিলাম, এখন মৃত্যুর জন্য বড় হচ্ছি। তরুণ এ কবির কবিতার মাঝে রয়েছে, দেশপ্রেম, সংগ্রাম, রাজনীতি। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সমাজ জীবনের উজ্জীবন ও সাধারণ জীবনযাত্রাকেন ধরতে সক্ষম ছিল তাঁর কবিতার ফ্রেম। ব্যক্তি জীবনে কবি নির্মলেন্দু গুণ এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর মেয়ের নাম মৃত্তিকা গুণ।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page