সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের উপরে জমজমাট ধান হাট। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট। চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ। সোমবার (২২ জুন) দুপুর ১ টায় সরজমিনে দেখা যায় ভূল্লী বাজারে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে উপর ধান হাট লাগায় ১ কিলোমিটার যানবাহনের যানজট তৈরী হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহে দুদিন শনিবার ও বুধবার ধানসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর হাট বসে। বর্তমানে হাটের নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বছরের পর বছর মহাসড়কে উপর ধানের হাট বসছে। প্রতি হাটে মহাসড়কের ওপর অটোরিক্সা, ভ্যান, ভটভটি, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ধান তোলা-নামা করে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনাসহ রংপুর বিভাগীয় শহরের বহু বাসট্রাকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচল করে। এ ছাড়া দেশের বৃহত্তম তেঁতুলিয়া স্থল বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এই পথ দিয়ে চলাচল করে। ফলে ভূল্লী বাজার মহাসড়কে ধানের হাট বসার কারণে মানুষ ও সকল প্রকার যান চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
যানজটের বিষয়ে ট্রাকচালক আলী হোসেন ও এনামুল হক বলেন,ভূল্লী বাজার মহাসড়কে ধানের হাট বসায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এই কারণে আমরা মালামাল নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে পারছি না। তেঁতুলিয়া স্থলবন্দরের কারণে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে একহাজার ট্রাক এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে, তাদেরও এ দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে ভূল্লী বাজারের ইজারাদার ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী মুক্তি বলেন,ভূল্লী বাজারে মহাসড়কের উপর ধান হাট লাগায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমি ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে অতিদ্রুত কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধান হাট স্থানান্তর করতে কাজ শুরু করেছি। এ জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উদ্যোশে মাইকিং চলছে।
মহাসড়কে ধান হাটের বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, মহাসড়কে ধানের হাট বা কোনো কিছু রাখা যাবে না। এই বিষয়টি জানতাম না। আমি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরপরও যদি ধানের হাট বসে সে বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply