সংবাদ ডেস্কঃ প্রেমিকার সাথে দেখা করেছিল গাজীপুরের সেলিম। প্রেমিকার বাসা মিরপুরে। সদূর গাজীপুর থেকে তিনশোটাকা ভাড়া দিয়ে প্রেমের টানে ছুটে গিয়েছিল সেলিম।
সেলিমের সাথে সঙ্গ দিতে গিয়েছিলো তার হাফপ্যান্ট পড়ুয়া দুই বন্ধু কাওসার আহমেদ আর পলাশ দাস। স্বাস্থ্যব্যাধি মেনে বন্ধু সেলিমের ডেইটে গিয়ে ফেসে গেছে দুই বন্ধু। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
সেলিমের বাসার লোকজন জানায় দুই দিন ধরে করোনার লক্ষণ দেখা যায়। আর তাতেই তারা ভয় পেয়ে সেলিমকে করোনা টেস্ট করায়। টেস্টের ফলাফল আসে আরো তিনদিন পড়ে। ফলাফল দেখা যায় সেলিম করোনায় আক্রান্ত।
সেলিম কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তা যেন তার বাসার কেউ বুঝতে পারছে না। সেলিমের কাজিন শতক খান এই রিপোর্ট দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। তিনি বলেন, হারামজাদা সেলিম তো সারাদিন বাসায় ছিল। কিভাবে আক্রান্ত হলো, কে আক্রান্ত করলো তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।
এই খবর সেলিমের বাবা মা কিছুতেই নিতে পারছেন না।ছেলের খবর শোনে সেলিমের মা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন।
সেলিমকে অনেক চাপাচাপি করার পর অবশেষে সেলিম এই বিষয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়।
সেলিম বলে, ভাই আমার গফ করোনায় আক্রান্ত ছিল কিন্ত সে আমাকে বলে নি। আমি উত্তেজনায় তাকে চুমু খেয়ে বসি। এখন আমি করোনায় আক্রান্ত। এখন আমার কি হবে ভাই? আমাকে বাঁচান…………
এইটুকু বলে সেলিম আমাদের জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে আসে।
আমাদের রিপোর্টার করোনা আক্রান্ত সেলিম থেকে নিরাপদ দূরত্ব চলে আসে।
সেলিমের করোনা আক্রান্ত হবার শোনে তার দুই বন্ধু কাওসার ও পলাশ খুবই ভেঙ্গে পড়ছে। তারা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে প্রায়। রুমের দরজা খুলছে না।কারো সাথে কথা বলছে না।
ফেইসবুকে আবেগী স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের ক্ষমা করার জন্যে অনুরোধ করেছে তারা।
You cannot copy content of this page