নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার ছালিপুরা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. সাদির উদ্দিনকে (৬৫) বুধবার সন্ধ্যায় কুপিয়ে আহত করেছে ছেলে জনি ওরফে কদম আলী। আহত সাদির উদ্দিনকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।অভিযোগে জানা গেছে উপজেলার ছালিপুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সাদির উদ্দিনের আগের স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দুই পক্ষের চার ছেলে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে প্রায় ৫০ কাঠা জমি দলিল করে দেন। সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাদির উদ্দিনের ছেলেদের বিরোধ চলছিল। প্রায় সময়ই ছেলেরা বাবাকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করত। এমনকি তাকে মারধর পর্যন্ত করত। নিজের জীবনের নিরাপত্তার সাহায্য চাওয়ার জন্য সাদির উদ্দিন বারহাট্টা উপজেলা ইউএন’র কাছে যান। এতে তিন ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বাড়ি ফেরার পর ছেলে জুলফিকার আলী ও নান্নু মিয়ার সামনেই অপর ছেলে জনি বুধবার রাতে সাদির উদ্দিনকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করে। এ সময় এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে ছেলেরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বারহাট্টা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত সাদির উদ্দিনকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মুক্তিযোদ্ধা সাদির উদ্দিন বলেন, জমির ভাগভাটোয়ারা করে দেয়ার জন্য ছেলেরা আমার উপর প্রায় সময় অত্যাচার করে। ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় আমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এলাকাবাসী আমাকে রক্ষা করে। পরে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, তিন ছেলের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সাদির উদ্দিন মামলা করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে ওরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।তবে আমরা দ্রুত ওদের গ্রেফতার করব।
Leave a Reply