স্টাফ রিপোর্টারঃ বর্তমানে সারা বিশ্ব করোনায় বিপর্যস্ত। এইমহামারি ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বাংলাদেশও আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। করোনার আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্ব মহলে। এরই মধ্যে সরকারি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অলস সময় পাড় করছেন শিক্ষক – শিক্ষার্থী। এই সময়টাতে মনের প্রশান্তি যোগান দিতে যোগ হয়েছে ঘুড়ি।
সোমবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঘুড়ি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন ঘুড়ি প্রেমিরা। কাজিপুরের আকাশ শোভা পাচ্ছে নানা রংয়ের বাহারি ঘুড়িতে। রাতে ঘুড়িতে রংবেরঙের লাংটিং করে মাতিয়ে রেখেছে আকাশটাকে। নানা প্রকার ঘুড়ির মধ্যে রয়েছে, কয়ড়া, গুড্ডি, চিলা, সেইপা, ডোল, বিমান, ফুল ঝুড়ি, পাখি।
উপজেলার শিমুলদাইড়, গাড়াবেড়, চালিতাডাঙ্গা, মেঘাই, মাইজবাড়ি, স্থলবাড়ি গ্রামের নানা বয়সি মানুষ তৈরি করছেন ঘুড়ি। ঘুড়ি তৈরির সময় কথা হয় চালিতাডাঙ্গা বি,বি,এন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এরশাদুল আলমের সাথে।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ। বাড়িতেই অবস্থান করছি। অবসর সময় টুকু পাড় করতে বিভিন্ন প্রকার ঘুড়ি তৈরি করে আকাশে উড়াচ্ছি। পাখি ঘুড়ি আমার খুব পছন্দের। করোনা কালে বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি করার চেয়ে মাঠে ঘুড়ি উড়ানোই ভালো।”
রাতে ঘুড়ি উড়াতে যাওয়া টেইলর জাহিদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, “সারা দিন ব্যস্ত থাকি টেইলরিং এ। আমি বেশিরভাগ সময় রাতে ঘুড়ি উড়াই। রাতে সবাই যেন আমার ঘুড়ি দেখতে পায় সেজন্য বিভিন্ন রঙের লাইট সেটিং করে উড়াই।”
কাজিপুর উপজেলা সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি বলেন, “ঘুড়ি উড়ানোর সময় সুতো যেন রাস্তায় আরোহীদের গলায় জড়িয়ে না যায়। জড়িয়ে গেলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
Leave a Reply