সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন ও আশপাশের হাজার হাজার মানুষের বর্ষা হলেই থমকে যায় উপজেলা বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের সাথে সড়কপথে যোগাযোগের।
জানাযায় উপজেলা বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজার থেকে প্রায় ৩কিলোমিটার দূরে বালিজুরী ও পাশ্ববর্তী এলাকার অবস্থান। বালিজুরী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের ডাঃ আসাদুল হক এর বাড়ি থেকে বাদাঘাট ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি,বালিজুরী ও পাশ্ববর্তী এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের শিক্ষার্থী সহ নানা শ্রেনীপেশার মানুষ উপজেলা বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে জানাযায় বালিজুরী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের ডাঃ আসাদুল হক এর বাড়ি থেকে বাদাঘাট ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটির আধা কিলোমিটার রাস্তা,বর্ষার শুরু থেকে প্রায় মাস পানি নিচে তলিয়ে যায়। এবং রাস্তাটির কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।
তখন এই এলাকার শিক্ষাার্থী সহ নানা শ্রেনীপেশার মানুষকে নৌকায় করে বিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে বাদাঘাট বাজারে যাতায়াত করতে হয়।এতে সময় ও অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি দুর্ভোগ বেড়ে যায় এসব এলাকার মানুষের।
তারা জানান বিগত ১০বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালিয়েও আজ এই রাস্তাটির উন্নয়নেরমুখ দেখেননি।বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এবং সুনামগঞ্জ ১সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির অক্লান্ত চেষ্টায় সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমরা বিগত দশ বছরের চেষ্টা চালিয়েও এই উন্নয়নের সুফল হতে বঞ্চিত কেন ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব হাসান ইমন বলেন তাহিরপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত বালিজুরী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাহতাবপুর গ্রাম থেকে মল্লিকপুর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি বর্ষা হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বালিজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী সহ এখানকার বিভিন্ন শ্রেনীপেশার জনসাধারণের উপজেলা বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজার যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উনি বলেন এই রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য আমরা প্রায় ১০বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালিয়েছি, কিন্তু দশ বছরেও রাস্তাটি উন্নয়নের কোন সুফল হয়নি। উনি এই রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া জানান এই রস্তাটি দুইটি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বালিজুরী ও বাদাঘাট, বিগত দিনে আমি ৪০দিনের কর্মসূচির আওতায়, আমাদের ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কিছু অংশ মাটি ভরাট করেছি। কিন্তু এভাবে এই রাস্তার উন্নয়ন সসম্ভব নয়।উনি বলেন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের এই অঞ্চলের অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত উপজেলা বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে যাতায়াত করে তাই অতিদ্রুত এই রাস্তাটি উন্নয়নে জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী আব্দুর জহুর, বলেন এই রাস্তাটি দুটি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত, আমরা বিভিন্ন ভাবে রাস্তাটির কিছু অংশ মাটিভরাট করেছি।কিন্তু বর্ষা হলেই বর্ষার পানিতে রাস্তাটির অনেকাংশে ভেঙে যায়, প্রয়োজন ব্রিজ/খালপাট। ও বর্ষার পানি হতে রাস্তার মাটি ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এতে সরকারের উর্ধতন ব্যাক্তি বর্গের সহযোগিতা প্রয়োজন।
You cannot copy content of this page