করোনাভাইরাসে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ঢাকার দরিদ্র পরিবারগুলোকে সাত মিলিয়ন ডলারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। এই কর্মসূচি কল্যাণপুর ও সাততলা বস্তি এলাকায় বসবাসরত নিম্নআয়ের এক লাখ মানুষকে সহায়তা দেবে। এই অর্থায়ন বাংলাদেশে শুধু কোভিড-১৯ মোকাবেলা প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেওয়া ৪৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে তারই অংশ। যেটা গত ২০ বছরে স্বাস্থ্য সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিলিয়ন ডলারের সঙ্গে যুক্ত হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার ছাড়াও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সহায়তা উদ্যোগ ব্র্যাককে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। দাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তহবিল পাওয়া গেলে এই পাইলট প্রকল্প দেশের অন্যান্য শহরাঞ্চলে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা আছে ডব্লিউএফপির।
রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিস্তার বন্ধে সহায়তা করার অংশ হিসেবে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার কারণে কোনো পরিবারের ক্ষুধার মুখে পড়া উচিত নয়। এই পাইলট কর্মসূচি ঢাকার এইসব নিম্ন-আয়ের নগরাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে সংকটকালে স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য পেতে সহায়তা করবে।’
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনো সদস্য কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে যেসব পরিবার কোয়ারেন্টাইনে আছে, সেসব পরিবারে খাদ্যের ঝুড়ি সরবরাহ করবে। এছাড়া এলাকার বাসিন্দারা বিনামূল্যে অথবা স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে শাকসবজি পেতে এবং স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য পেতে ভাউচার পাবেন। কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত হলে এটি বাজার ও স্থানীয় কৃষি উৎপাদনের মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপনে সহায়তা করার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের জন্যও কাজ করবে।
You cannot copy content of this page