মেহেদী হাসান উজ্জ¦ল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান, শ্রমিকদের পুনরায় স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা। এতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও বড়পুকুরিয়া জাতীয় শ্রমিক লীগের শ্রমিকরা যৌথভাবে অংশ গ্রহন করেন।
৮জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি খনির দক্ষিন গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান,বড়পুকুরিয়া জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম,শ্রমিক নেতা নুর ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি সিএমসি জেএসএমই’র অধীনে খনির অভ্যন্তরে কাজ করে আসছেন ১১৪৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের খনির ভেতরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারী করে শুধুমাত্র চীনা শ্রমিকদের নিয়ে স্বল্প পরিসরে খনির কার্যক্রম চালু রাখেন কর্তপক্ষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনাকালীণ সময়ে যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছুটিতে পাঠান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মার্চ মাসের ২৬ দিনের বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়েছেন শ্রমিকদের। এদিকে,দীর্ঘদিন ধরে কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিকরা। তাই অনতি বিলম্বে আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ৪দফা দাবি মেনে না নিলে ১৩ জুলাই থেকে খনির প্রধান ফটকের সামনে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি লাগাতার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুজ্জামান খান বলেন, করোনার কারণে শ্রমিকদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছিলো। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি সিএমসি জেএসএমই’র সাথে আমাদের কথা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কাজে যোগদানের মাধ্যমে তাদের বকেয়া পাওনাদি প্রদান করবেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply