কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি স্বপরিবারে করোনা পজেটিভ হওয়াতে এলাকাবাসী আতঙ্কে বাড়ি অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন। খাবার পানি পর্যন্ত নিতে দিচ্ছে না। ঘটনাটি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চরমানিকদহ এলাকার।
চরমানিকদহ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জোবায়দা আক্তার জবা করোনা ভাইরাস শুরু থেকে তৃণমূল স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দৌড় গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে নিরন্তর কাজ করে গেছেন। প্রতিদিন করোনা লক্ষণের রোগী কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে প্রান্তিক মানুষের প্রাথমিক সেবা দিতেন।
শুক্রবার (১০ জুলাই) এরই এক পর্যায়ে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা এই স্বাস্থ্য কর্মী স্বপরিবারে এখন করোনা পজেটিভ আসে। স্বাস্থ্যকর্মী জোবায়দা বসবাস করেন শহরের বসুন্ধরা এলাকায়। আর সেখানে এখন খুবই অসহায় মানবেতর জীবনযাপনে পড়েছেন এলাকাবাসীর রোষানলে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বাস্থ্য কর্মী জোবায়দা আক্তার বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মানুষের অমানবিকতা কি পর্যায়ে তা বার বার দেখিয়ে দিচ্ছে চোখে আঙুল দিয়ে। আমি স্বাস্থ্য কর্মী ; আমার করোনা পজিটিভ। ফ্রন্টলাইনে সেবা দিয়েছি তাই আমি ও আমার পরিবার আক্রান্ত। আমার বাসায় খাবার পানি দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। আমার নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে কাউকে আসতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে রিকশাওয়ালা আসলে তাকে মেরে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মানুষের সেবা দিতে গিয়ে আমি আক্রান্ত, আমার পরিবার আক্রান্ত। আমার চার বছরের শিশু আক্রান্ত। আমি কি সেবা মানুষের দিয়েছিলাম? প্রশ্ন পুরা জাতির কাছে?’
সূত্রে জানা যায়, গেলো রাত থেকে পানির সংকটে এই স্বাস্থ্যকর্মীর পুরো পরিবার। করোনার এই দূঃসময়ে খাবার পানি না পেয়ে জীবনযুদ্ধে অনেকটা হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চরমানিকদহ এলাকার এই স্বাস্থ্যকর্মী।
Leave a Reply