নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিলেট মহানগর শাখার আহ্বায়ক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিলেট মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সিনিয়র সদস্য, বিগত ২০১৬ ইংরেজি সনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৪ নং কুচাই ইউনিয়ন পরিষদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তরুণ রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব জাকিরুল আলম জাকিরকে জড়িয়ে অনলাইন নামক নবগঠিত একটি পোর্টালে মিথ্যা বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিলেট জেলা এবং মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত একজন সৎ ও মেধাবী এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। যিনি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায়, দলের চরম দুর্যোগ মুহূর্তে সরাসরি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে ছাত্রদল এবং শিবির কর্তিক বারবার নির্যাতিত হয়েছেন এবং একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।১/১১ প্রেক্ষাপট এর সময় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে তৎকালীন যৌথবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন এবং গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছেন।
এখনো যিনি শতভাগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী, তৃণমূল হতে গড়ে ওঠা নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে অপসাংবাদিকতার নজির সৃষ্টি করেছে একটি অনলাইন পোর্টাল কর্তৃপক্ষ । আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের,কলম সন্ত্রাসের মাধ্যমে ধ্বংস করতে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন জামাত-শিবিরের মদদপুষ্ট একসময়ের ইসলামিক টিভিতে সম্পৃক্ত এক কর্মচারীর জনৈক একটি অনলাইন পোর্টালে জনাব জাকিরুল আলম জাকির কে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে জনসম্মুখে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
একদম নিজস্ব মনগড়া আর অশালীন শব্দ ছন্দের মাধ্যমে চরম মিথ্যাচার ভিত্তিহীন এবং চটকদার সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে অনলাইন পোর্টাল কর্তৃপক্ষ তথ্য সন্ত্রাস হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেছে এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদায় চরমভাবে আঘাত করেছে বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ শিল্পে এই মাধ্যমের উপর ন্যূনতম প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনলাইন পোর্টাল কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। কারণ আমাদের জানামতে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা ব্যবসায়ী কিংবা সম্মানিত কোন ব্যক্তির নামের পূর্বে “বিশেষ শব্দ” জুড়ে দেওয়ার উপর মহামান্য হাইকোর্টের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অনভিজ্ঞ এবং অক্ষরজ্ঞানহীন এই পোর্টাল কর্তৃপক্ষ সংবাদের চাকচিক্য বাড়াতে এবং সংবাদটি সাধারণ মানুষের খোরাকে পরিণত করতে, সংবাদে অশ্লীল এবং ব্যক্তিত্বহীন সব অশালীন শব্দ জুড়ে দিয়ে তিনি মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। যা সম্পূর্ণরূপে আইন বহির্ভূত এবং আমাদের জানা মতে এটা দণ্ডনীয় অপরাধ।
নেতৃবৃন্দ একজন ত্যাগী রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব জাকিরুল আলম জাকিরকে নিয়ে এধরনের মনগড়া বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান।জনাব জাকিরুল আলম জাকির শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির বাইরে তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠিত একজন ঠিকাদার, তিনি প্রতি বৎসর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর সরকারের কোষাগারে দিয়ে থাকেন, তিনি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্য ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। আমরা সংবাদ পরিবেশনকারী পোর্টাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই অনতিবিলম্বে সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে মুছে দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আর একটি সংবাদ প্রকাশ এর মাধ্যমে হলুদ অপসাংবাদিকতার রাস্তা থেকে বেরিয়ে আসবেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা এবং মহানগর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply