বিদেশ গমনেচ্ছুদের করোনা পরীক্ষার জন্য যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের রিপোর্ট আগে বা স্বল্প সময় দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যার্ত জেলাসমূহে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে এসব কথা করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন একদিকে বিদেশগামীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্বেগে থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছে নমুনা দেয়ার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সংক্রমিত হলে তা বিদেশে নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়তে পারে। তখন প্রাপ্ত সনদ কাজে আসবে না বা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তাই বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষায় একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করা দরকার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নমুনা গ্রহণ এবং রিপোর্ট প্রদান করে তাদের উদ্বেগ কমানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের নজর দেয়া জরুরি।
তিনি বলেন, পাশাপাশি নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ অপেক্ষার পরিবর্তে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং বিদেশগামীদের জন্য বুথের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো না করে আগেভাগে তৎপর হওয়া উচিত। রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না করে বিশেষ ব্যবস্থায় এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের রিপোর্ট আগে বা স্বল্প সময়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমিত বিশ্বের প্রতিটি দেশই চেষ্টা করছে সংক্রমণ রোধে। বাংলাদেশও মহামারি নিয়ন্ত্রণে এবং জনগণের সুরক্ষায় নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন বন্যাকবলিত মানুষের পাশে তখন বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা উল্টো মানবিক সংকটকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। যারা দুর্যোগ-দুর্বিপাক ও সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা অপরাজনীতির অন্ধকারের গিরিখাতে দিকভ্রান্ত পথহারা পথিকের মত প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও চাতুর্যপূর্ণ কথামালা ব্যবহার করে প্রেস ব্রিফিং নির্ভর গলাবাজির রাজনীতি করছে বিএনপি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন উল্লেখ করে ওবায়দুল বলেন, জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। বৈশ্বিক মহামারি ও দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও পরবর্তী অর্থনৈতিক গতিশীলতা পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক আর না থাকুক দেশের যে কোনো সংকট ও দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকে, আর এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
You cannot copy content of this page