ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ।ঈদের মৌসুমে চারদিকে সাজ সাজ রব থাকে প্রতিবছর। তবে এবারে করোনা মহামারী এবং ঘূর্ণিঝড় আমফানের যৌথ প্রকোপে চিত্রটা অবশ্যই একটু আলাদা।
তার মাঝে ঢাকা-৫ আসনের প্রবীণ বর্ষিয়ান আওয়ামিলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপির মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়ে রয়েছে। ঢাকা-০৫ আসনের প্রার্থী এখন সারিসারি তবে তার এই শূন্যস্থান পূরণে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-০৫ আসনের সর্বস্তরের জনগন এবং আওয়ামিলীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠন এর সকল নেতাকর্মীর একটাই প্রত্যাশা এবং দাবি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য ক্ণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার আস্থাভাজন ব্যক্তি রাজপথের অগ্নিপুরুষ সাবেক বৃহত্তর ডেমরা থানা সহ সমগ্র ঢাকার রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকুর সৈনিক শাহজাহান কবির টিটু কে ঢাকা-০৫ আসনের নৌকার মনোনয়ন দেয়ার জন্য ঐ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দাবি।
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের এই রাজ পথের লড়াকুর সৈনিক প্রতিবেদককে বলেন, আমি আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের বৃহত্তর ডেমরা থানার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের একজন প্রহরীর মত রাজ পথে ছিলাম, আমিই ঐ অঞ্চলে সর্ব প্রথম গ্রেফতার হই এই দলের জন্যই, ১৯৮৭ সনে বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের মিছিল সমাবেশের উপর নিষিদ্ধ ঘোষনা করে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেন তখনই আমরা এর প্রতিবাদে মোশাল মিছিল বাহির করি , উক্ত মিছিলে ছিলেন মরহুম হাবিবুর রহমান মোল্লা, সফর আলী, ,এডভোকেট মোসলে উদ্দিন, আকবর আলী,বীর মুক্তিযুদ্ধা বাবুল, বীর মুক্তিযুদ্ধা তোফাজজল ও মোজাম্মেল, শাহজাহান কবির টিটু সহ মাএ হাতে গোনা কয়েকজন মোশাল মিছিল বাহির করেন, কিন্ত ধোলাইপারে মিছিল আসা মাএই তখন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা নওশের আলী বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা কে নিয়ে কটাক্ষ ভাষা গালিগালাজ করে ঐ মুহূর্তেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য ক্ণ্যা জননেত্রীর আদর্শের আদর্শিত সৈনিক শাহজাহান কবির টিটু ওসি কে মোশাল নিক্ষেপ করে সাথে সাথে জবাব দিয়ে দেন এই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক জ্বলন্ত তখনই তাকে গ্রেফতার করে শুরু হয় পুলিশি নির্যাতন তার পর ৭ দিনের রিমান্ড পরে তিন মাসের ডিটেনশ পরে দীর্ঘ দিন কারাবরণ করেন এই দলের জন্যই এখনও যারা ঐ মোশাল মিছিলের সহযোদ্ধা বেঁচে আছেন তারই জ্বলন্ত সাক্ষী তাই ঢাকা-০৫ আসনের নৌকার মনোনয়নের জন্য ঐ এলাকার সর্বস্তরের জনগনের দাবি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দুঃসময়ের এই নেতাকে যেন মূল্যায়ন করা হয় , সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ঢাকা মহানগর এই রাজ পথের নেতা শাহজাহান কবির টিটু প্রতিবেদককে বলেন, আমি ৮০ ও ৯০ দশকে বৃহত্তর ডেমরা থানা সহ সমগ্র ঢাকা মহানগরে দলে জন্য জীবন বাজী রেখে কাজ করেছি আজ যারা ঢাকা - ৫ আসনের প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই যথেষ্ট অবগত আছেন আমার সম্পর্কে, এই দলের জন্য ৯ বার কারাবরণ করেছি ২৯ টি মিথ্যা মামলা মাথা নিয়ে ২০০১ সনে বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনে জীবন বাঁচানোর জন্য দেশ ত্যাগ করি, দেশে থাকায় অবস্থায় সব সময়েই রাজপথে ছিলাম। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আমার নেত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল বার বার। আমি রাজপথে থেকে আমার নেত্রীর অতন্দ্র প্রহরী হয়ে পাশে ছিলাম আছি থাকব মৃত্যুর আগে পর্যন্ত। জননেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে আমি মেনে নেব। তবে আমি আশাবাদী মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়ী হব। ঢাকা-০৫ আসন সংসদীয় এলাকার সর্বস্তরের জনগনের মাঝে সেবা পৌছে দেব।
আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে তিনি বলেন, দেশের এই মহাদুর্যোগে আসুন সকলে গরীব অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসি। মানুষের মুখে দু্বেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করি।
ধনী বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে ঈদ বিপুল অর্থ খরচ করে গরু ক্রয় না করে এই মহাদুর্যোগে দুর্যোগগ্রস্থ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাবার পৌছে দেই।
এছাড়াও করোনা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন,”পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ” সকলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, করোনা থেকে মুক্ত থাকি।মাস্ক ব্যতিত বাহিরে বের হবেন না।স্বাস্থ্যববিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কোরবানীর পশু ক্রয় করি। আসুন সকলে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করি।
সর্বশেষে তিনি বলেন, ঢাকা-৫ আসনের সংসদীয় এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা রইল আমার পক্ষ থেকে। সকলের এই ঈদ আল্লাহুর রহমতে ভাল কাটুক দোয়া করি। ঈদ মোবারক।