মুজিব, বাঙ্গালীর হৃদয় গহ্বরে আটকে থাকা এক শুদ্ধ চেতনার সংমিশ্রণ। আদর্শ ও দৃঢ়চেতা মানসিকতার অটুট সামর্থ্য যাকে পরিণত করেছিল বাঙ্গালী জাতির পিতা তথা নন্দিত বিশ্বনেতায়। মুজিব মানে মুক্তি, সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের প্রতীক হয়ে লড়ে যাওয়ার এক অপরিসীম শক্তি। শতবছর শেষে যা আজো বাঙ্গালীর চলার পথের অনুপ্রেরণা। বাঙ্গালী বিশ্বাস করে মুজিবে শক্তি, মুজিবেই মুক্তি। আলোকিত ভোরে তরুণরা স্বপ্ন দেখে মুজিব হয়ে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার। হোক শিক্ষা, ব্যবসা, কিংবা রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই তরুণদের লালিত স্বপ্ন মুজিবের মতো দৃঢ় হবো, স্বচ্ছতার সহিত আপন কর্ম দক্ষতায় এগোবো দেশের জন্য। একজন মানুষ কিভাবে নিজের জীবন বাজি রেখে রক্তের বিনিময়ে শত বছরের পরাধীন বাঙ্গালী জাতিকে মুক্ত করেছে কিংবা স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে ভাবলে এখনো আমি এ প্রজন্মের সন্তান হিসাবে স্তম্ভিত হতে বাধ্য হই! ইচ্ছা করে ফিরে যাই ৭১ এ, লড়ি দেশের জন্য মুজিবের নেতৃত্বে। ভাবি অনেকসময় কিভাবে এ অসাধ্য সাধন হলো? উত্তরো পাই সহজেই, মানুষ চেয়েছে বা বিশ্বাস করেছে একজন মুজিবকে, সঁপে দিয়েছে তাঁর জন্য সবটা এবং এতে করেই অসাধ্য সাধন হয়েছে। জানি না আজকের এ চাটুকার বা তেলবাজ সমাজ কতোটা সংগ্রামী! তবে, দূরাবস্থা থেকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে একজন মুজিবের যে বড়ই প্রয়োজন। পারবো কি আমরা মুজিব হয়ে উঠতে? সময় দিবে উত্তর!
তরুণ প্রজন্মের একজন হিসেবে দৃঢ়তার সাথেই বলতে চাই, গড়ে উঠুক মুজিব আদর্শের ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ মুজিব শতবর্ষ এ মোর চির প্রত্যাশা।
কবিতার ছন্দেই হোক আমাদের প্রজন্মের প্রতিজ্ঞা:
"যতদিন দেহে আছে প্রাণ
গেয়ে যাব মুজিবের গান "
অনন্য প্রতীক রাউত
আইন বিভাগ
ব্যাচঃ১৫ (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
You cannot copy content of this page