১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বাঙালির মুক্তির পথপ্রদর্শক, স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার জীবদ্দশায় এদেশকে একটি সোনার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন। বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান থেকে দূরে থাকার তীব্র মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। শুধুই তার প্রিয় বাংলার জন্য, বাংলার মানুষের জন্য। তার সেই ৭ই মার্চের রক্ত গরম করা ভাষণে আজও অণুপ্রাণিত হয় আমাদের তরুণ ছাত্রসমাজ। তাইতো বিভিন্ন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্ররা। নিজেদের জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করে, তাদের বিভিন্ন দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ঠিক যেমনটি শিখিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ২০১৮ সালের 'নিরাপদ সড়ক চাই' স্লোগানে যে ছাত্রসংগ্রাম হয় তা শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া আদর্শের কথাই মনে করিয়ে দেয়। যেকোনো আন্দোলনে মানুষ, অস্ত্র ইত্যাদির অভাব হয় না। অভাব হয় তো একজন আদর্শ নেতার, যিনি সাহস করে হাজারো মানুষের সামনে আন্দোলন কে একটি সুন্দর সমাপ্তি দিতে পারেন। আন্দোলনের দাবিগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তেমনি একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার মতো আদর্শ নেতা আমাদের আজকের সমাজে প্রায় দুর্লভ। তিনি বলেছিলেন,
"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্"
তিনি দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছিলেন ঠিকই, কিন্তু এদেশের কিছু কলঙ্কিত মানুষ তার কাছ থেকে তার জীবনের স্বাধীনতাই কেড়ে নেয়। ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়িতে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় বাঙালির বীর নেতাকে। তিনি স্বশরীরে না থাকলেও আজও বেঁচে আছেন কোটি বাঙালির অন্তরে। তার ছাত্রজীবনের আন্দোলন, রাজনীতি আমাদের তরুণ ছাত্রসমাজ ও রাজনীতিবিদদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে। তিনি চলে গেলেও স্বাধীনতার এই ৪৯ বছরেও বাঙালি ভুলে যায়নি তার আদর্শ, চেতনা, সংগ্রাম ও দেশপ্রেম।
রাজিয়া সুলতানা রিপা
শিক্ষার্থী
গণিত বিভাগ,
১৫ তম আবর্তন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
You cannot copy content of this page