বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়স থেকেই সে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক কাজে যুক্ত ছিলেন। অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় ছিল তার। ফলে তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ছিল অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধু সবসময়ই চাইতেন বাংলাদেশকে একটি সাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, শত্রু মুক্ত করতে। তাইতো তিনি নিজের জীবনের পরোয়া না করে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তিনি তার জীবদ্দশায় প্রায় ১৪ বছর কারাবন্দী ছিলেন, নিজের পরিবার-পরিজনদের থেকে দূরে সরে ছিলেন। কতই না কষ্ট যন্ত্রনার মধ্যেদিয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছিল, শুধুমাত্র তার প্রিয় দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তা অবদানের কথা বলে শেষ হবার নয়। তার ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রানিত হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা দেশকে শএুর কবল থেকে ছিনিয়ে এনেছিল। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও তার সুমহান ভাষন এদেশের তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করে যাচ্ছে নিজেদের জীবন বাজিরেখে অধিকার আদায়ের চেষ্টায়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিচক্ষণ, সুমহান, সুযোগ্য নেতা। তার মতো নেতা সমাজে দূর্লভ। তিনি বলেছিলেন- "একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়"। মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর একজন সুযোগ্য কন্যা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার সপ্নগুলো বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাক, দুর্নীতি মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত একটি সুন্দর দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলুক সেই প্রত্তাশাই রইলো।
সুমাইয়া সাকা শিমু
দর্শন বিভাগ
১৫ তম আবর্তন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
You cannot copy content of this page