সবুজ সরকার বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলায় বানিয়াগাঁতি এস,এন একাডেমি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ ২ জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর নিয়োগের ক্ষেত্রে সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও কমিটির যোগসাজসে রেজাল্ট না দিয়ে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিটি শ্রেনীতে ছাত্র ছাত্রীদের মাসিক বেতন আদায় খাতায় না উঠিয়ে পরিচালনার কমিটির সদস্য সহ সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করেন। প্রতি বছর আত্মসাৎ করেন প্রায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। কেজি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি দেখিয়ে বেতন ভাতা কাউকে না জানিয়ে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা আত্মসা করেন। বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের রেজিষ্ট্রেশন, প্রবেশ পত্র বোর্ডে পাঠানোর সময় যে ভুল ক্রটি হয় সেটি সংশোধনের জন্য ছাত্র ছাত্রীদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন কিন্তু টাকা বিদ্যালয়ের খাতে জমা না করিয়ে ভ্রমনভাতা ভাউচার করিয়ে খরচ করেন। এভাবে প্রতি বছর ২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। উপবৃত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের ভোগান্তির শেষ থাকেনা।মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশনের বৃত্তির টাকা ভুয়া নাম দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ মিলে বোর্ডে যাওয়া আসা বাবদ ভ্রমন ভাতা বাবদ প্রতি বছর ৩ লক্ষ টাকা ভুয়া ভাউচার এর মাধ্যমে খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ খোন্দকার নজরুল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান, নিয়োগটা নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়।
You cannot copy content of this page