নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য শত্রুতার জের ধরে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে মো. আরমান শেখ ওরফে মান্নাকে বিনা কারণে চোর সাজিয়ে পুলিশ ও মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন স্থানীয় টাউট মাতুব্বরা। এ মিথ্যা চুরির অপবাদে শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টায় লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি গত ২১ জুলাইয়ের দুই দিন আগে কাশিয়ানী থানার সন্ধ্যা বাজারে টিউবয়েল স্থাপনের কাজে যাই। ওই দিন কুমার ডাঙ্গা গ্রামে আমার আপন ফুফু আফরোজা বেগমের একটি লাল রং এর বকন গরু চুরি হয়। এর কয়েক দিন পর ইতনা গ্রামের নান্নু শরীফেরও একটি গরু চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনার ৪ দির পর নড়াইল সদর থানার সড়াতলা গ্রাম থেকে চুরাই গরুসহ ৪জন চোর আটক হয়। তাদের মধ্যে একজন কুমারডাঙ্গা চরপাড়া গ্রামের জাফর শেখের ছেলে জাবের শেখ (২৪) ছিল।
এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার আইও এসআই অনিল মুখার্জি আসামি জাবেরকে মো. আরমান শেখ ওরফে মান্নার নাম বলতে শিখিয়ে দেয়। আসামি জাবের অন্যায় ভাবে আমাকে মামলায় জাড়াতে রাজি হয়নি। সে জন্য এসআই অনিল মুখার্জি তাকে বেদম মারপিট করে বলে অভিযোগ করে জাবের। এ ঘটনা এলাকায় চাউর হলে কুমারডাঙ্গা গ্রামের টাউট মাতব্বরদের মধ্যে আবুতালেব শেখ (৫৫), দাউদ শেখ (৬৫), ইমদাদুল শেখ (৪০), জাকির শেখ (৩৫), রিয়াজ শেখ (২০) অন্যায় ভাবে লাভবান হয়ার জন্য নিজেরা শলা পরামর্শ করে আরমান শেখ ওরফে মান্নাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
সংবাদ পেয়ে আমি বাড়িতে এসে বিষয়টি উল্লিখিত মাতব্বরদের নিকট জানতে চাইলে মাতব্বরগণ আমাকে জরিমানার টাকা দিতে উল্টে চাপ দেয়। তারা আরও জানায়, এ টাকা থেকে এসআই অনিল মুখার্জিকে ভাগ দিতে হবে। আর টাকা না দিলে আমাকে এসআই অনিল মুখার্জি মিথ্যা মামলা দিয়ে ও পিটিয়ে শায়েস্তা করবে।
এ বিষয়ে আমি নড়াইল পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। মো. আরমান শেখ ওরফে মান্না সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ওই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন ইতনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর পলাশ শেখ, টুটুল শেখ, বাবুল শেখ, হাফিজা বেগমসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#
You cannot copy content of this page