নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২১ সে আগস্ট, ২০০৪ সাল , গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে, খালেদা জিয়ার সরকারের সরাসরি সহযোগিতায় ; মৌলবাদী সন্ত্রাসী শক্তিকে ব্যবহার করে তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জীবন নাশের জন্য গ্রেনেড হামলা চালায়। দিনটির স্মরণে, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ জুম মিটিংএ এক শোক সভার আয়োজন করে। শোক সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্নির্বাহী সংসদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ড:অধ্যাপক সেলিম মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির দুইবারের উপ প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কার্যকরী সংসদের সাবেক সহ সভাপতি ,অনলবর্ষী বক্তা জনাব এম. আমিনুল ইসলাম। অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি এবং তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড: সেলিম মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৭/১৮ বার চেষ্টা করা হয় ,২১ শে আগস্ট ছিল শেষ প্রচেষ্টা। যদি ২১ শে আগস্ট পুঁতে রাখা দুটি বোমা ফেটে যেত , আমরা শেখ হাসিনাকে হারাতাম। বাংলাদেশের চেহারা আজকের বাংলাদেশ থাকতো না। ২১ সে আগস্ট আমাদের বলিস্ট হওয়ার দিন ,শোককে শক্তিতে পরিণত করার দিন. বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড যে কারণে করা হয়েছিল ,একই কারণে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়। ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা করা হয় পাকিস্তান দিবসে, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নামটা রেখে, সংবিধানকে লন্ডভন্ড করা হয়।জিয়া মোস্তাক সরকার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা দেন নি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য সব করেছেন , স্বাধীনোত্তর ৯ মাস পরে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। শেখ হাসিনার ওপর খালেদা জিয়া সরকারের সহযোগিতায় বোমা বর্ষণের পর, লন্ডন, ইউরোপে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই হত্যার নৃশংসতা বুঝতে পেরেছিল এবং পুরো বহির্বিশ্ব এই ঘটনার বিচারের জন্য জোর দাবি জানায় ।
বক্তাগণ বলেন, ” ১৫ই আগস্ট এবং ২১ সে আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। ১৫ ই আগস্ট জিয়া মোশতাকের সহযোগিতায় খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তাদের উত্তরসূরি বিএনপি,জামাত মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে, ২১ শে আগস্ট ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালায়। আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে লাশ আর লাশ এবং আক্রান্তদের আর্তনাদ। গ্রেনেড হামলার পর শেখ হাসিনাকে মানববন্ধন করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা করে। হত্যাকারীরা শেখ হাসিনার গাড়িতে গুলি চালায়, কিন্ত্র বুলেট প্রুপ গাড়ি হওয়ার জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। এই বোমা হামলায় বাংলাদেশ মহিলা লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান সহ , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৫ জন নেতা জীবন দেন। শত শত কর্মী বোমার স্প্রিংটার নিয়ে বেঁচে আছেন। খালেদা জিয়ার সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের তদন্তের নামে প্রহসন করে এবং উল্টো আওয়ামী লীগকে এই হামলার জন্য দোষারোপ করে । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই হত্যার সুস্ট তদন্ত শুরু হয় এবং ২০১৮ সালে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। বক্তাগণ খালেদ জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে অবিলম্বে লন্ডন দেশে ফিরিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারকে আহ্বান জানান।বক্তাগণ বিএনপি কে হত্যার রাজনীতি পরিহার করার জন্য বলেন।
বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল হক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতনের পরিচালনায় এই শোক সভায় শেখ হাসিনার ওপর ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে এবং অন্যান্য সাজাপ্রাপ্তদের সাজা বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি খন্দকার হাফিজ উদ্দিন নাসিম, ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ সাবেক প্রচার সম্পাদক ও বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা খোকন শরীফ , নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন তপন, পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল হক জসিম, পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান,স্পেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, রিজভী আলম, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদ হোসেন,বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা ড. ফারুক মির্জা, সিনিয়র সহ সভাপতি বিধান দেব, যুগ্ম সম্পাদক দাউদ খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোর্শেদ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, জনাব বাদশা, সদস্য , দিলরুবা বেগম মিলি, মহিলা নেত্রী আনার চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান আলী,এনট্রপ আওয়ামী লীগের আহবায়ক শেখ সেলিম, বেলজিয়াম যুবলীগ সভাপতি খালেদ মিনহাজ প্রমুখ।
Leave a Reply