রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে প্রাচীন বসতী ভেঙে কাঁচা বাজার নির্মানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও ফাঁকা জায়গায় কাঁচা বাজার নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসী মানব বন্ধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজশাহী নগরীর কোর্ট হড়গ্রামে ঐ এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ মানব বন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা মানব বন্ধন করছি সেখান থেকে ৫০ মিটার থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে ফাঁকা জায়গা থাকা সত্ত্বেও এবং স্বল্প ব্যয়ে কাঁচা বাজার নির্মানের সুযোগ থাকলেও রাস্ট্রের অর্থের অপচয় করে সাবেক নন্দী পুকুর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার শতাধিক এক তলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত পাকা বাড়ি ভেঙে কার স্বার্থে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কাঁচা বাজার নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সাবেক নন্দীপুকুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৩০ বছর থেকে প্রায় ২০০ বছর যাবৎ মুক্তিযোদ্ধা, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ বংশানুক্রমে পাকাবাড়ি নির্মান করে বসবাস এবং ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোর্ট অক্ট্রয় মোড় থেকে লিলি সিনেমা হল পর্যন্ত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) রাস্তা সম্প্রসারণের সময় বঙ্গবন্ধুর সহচর ও জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী স্বনামধন্য প্রয়াত ডা: মুজিবর রহমানের ভাই ও তাঁর পরিবারসহ প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসত ভিটা অধিগ্রহণ করে রাস্তা সম্প্রসারণের ফলে একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা তাঁদের অবশিষ্টাংশে সবেমাত্র পাকা বাড়ী ঘর নির্মান করে বসবাস শুরু করেছে। আবারও যদি এলাকাটি অধিগ্রহণ করে কাঁচা বাজার নির্মান করার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ গ্রহন করে তবে সাবেক নন্দীপুকুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমরা এলাকাবাসী হড়গ্রাম কাঁচা বাজার নির্মানের বিষয়ে বিগত ২৫ মার্চ ২০১৯ ও ১০ আগষ্ট ২০২০ রাসিক মেয়র বরাবর ৭ টি বিকল্প জায়গার একটিতে কাঁচা বাজার নির্মানের যৌক্তিক ও বাস্তব সম্মত প্রস্তাবনা পেশ করেছিলাম।
তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, "উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে, উন্নয়নটা মানুষের জন্য, মানুষের ক্ষতি করে যেন এই উন্নয়ন না হয় "।
মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ।
বক্তব্য রাখেন: বীর মুক্তিযোদ্ধা শেক মুজিবুর রহমান, সাবেক সদস্য সচিব, রাজপাড়া থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মনোয়ারুল ইসলাম,পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন উল্লাস প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ শামীম হাসান রকি।
You cannot copy content of this page