মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):- টানা ১১ দিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তিত দেশের মানুষ।
বেনাপোল বন্দর সুত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোন প্রকার পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। এর ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারী পার্কিং আর সড়কে প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক এখনও দাড়িয়ে আছে। দ্রুত এসব ট্রাক ছাড় করাতে না পারলে আবারও নতুন করে ক্ষতির শিকার হবেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাংলাদেশি আমদানি কারকরা তাদের ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে পুরানো এলসির আটকে পড়া পেঁয়াজ ছাড় করনে বার বার আবেদন জানালেও এখন পর্যন্ত সেখান থেকে কোন সাড়া মেলেনি। ফলে দেশে পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে,বাংলাদেশের স্থানীয় বাজার গুলোয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতি'র সভাপতি মহাসিন মিলন বলেন, তাদের সমিতি'র পক্ষ থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানালেও এখনো পর্যন্ত কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পেঁয়াজ আমদানি কারক আয়ুব হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বিভিন্ন পার্কিংয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই গাড়ি। অনেক ট্রাকের পেয়াঁজে পচন ধরেছে। নিষেধাজ্ঞার আগেই এসব ট্রাক বন্দর এলাকায় পৌছেছিল। দ্রুত এসব ট্রাক না ছাড়লে আবারো নতুন করে তারা লোকশানে পড়বেন।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক(ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়ায় সংকট দেখিয়ে গত ১৪ই সেপ্টেবর থেকে ভারত বাংলদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়।
তবে, এপথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে অন্যান্য পণ্যের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক আছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর/২০২০ ইং তারিখ হতে ভারত বাংলাদেশে সম্পূর্ণ ভাবে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে রেখেছে।
প্রেরক:- মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন
বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শা,যশোর।
মোবাইল:-০১৭৯১৩১২১১১।
You cannot copy content of this page