সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোকে কেন্দ্র করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ তিন জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
আহতরা হলেন, উপজেলার গাড়াবেড় (গোদাগাড়ী) গ্রামের আলিমুদ্দীনের ছেলে হাফিজার, নূরুল ইসলামের স্ত্রী রাহেনা ও শিশু ছেলে রানা।
গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারটায় আহত হাফিজারের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বড় ভাই আব্দুর রশিদ (৫৫), তার ছেলে ও ইউপি সদস্যের জামাতা মিজানুর রহমান (২৮), বাছের (৬০) ও তার ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩১) পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালায়। হাফিজারের মাথায় পাশে থাকা দোকানের লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে মাটিতে লুটে পড়েন তিনি এবং মারামারি ঠেকানোর জন্য রাহেনা এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয় তারা। মা রাহেনাকে শিশু ছেলে রানা জরিয়ে ধরলে সেও রেহায় পায়নি মারের হাত থেকে।
পরে স্বজনরা আহত হাফিজারকে উদ্ধার করে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রাহেনা ও তার ছেলে রানাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অবস্থা বেগতিক দেখে হাফিজারকে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, "আব্দুর রশিদের বিয়াই বাড়ির যে বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল সেটা সরানোর জন্য বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের জোর তাগিদ দিচ্ছিল মিজান। তখন হাফিজার শুধু বলেছিল ওখান থেকে খুঁটি সরালে তার ঢিল হয়ে আমার ঘরের উপর পড়বে। পরে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।"
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আহত হাফিজার বলেন,'পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই মেম্বরের লোকজন আমাকে মেরেছে।'
হাফিজারের ছোট ভাই বেলাল জানান, "ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাস্তায় মটর সাইকেল ঠেঁকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তার প্ররোচনাতেই এই হামলা হয়েছে।"
ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, "আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না। তবে মারামারির ঘটনা সত্য।"
এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
You cannot copy content of this page