ঢাকার মশিউর রহমান মামুনের হত্যকারী জাগরন মাদকাশক্তি নিরাময় ও সহায়তা কেন্দ্রের মালিক মেহেদি হাসান চন্দন ও তার সহযোগী রুম্মন, রাসেল, নাজমুল ও টিটোদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার বাকলা গ্রামের মোঃ মহব্বত আলীর ছেলে মোঃ মশিউর রহমান মামুন। বর্তমান ঢাকার হাজারীবাগ পুরানত মিনা বাজার গলির ৭/এ রোডের ২১/১(খ) এ তার পরিবার বসবাস করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই ও মামলার বাদী মোঃ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন আমার সহোদর ছোট ভাই মশিউর রহমান মামুন মাদকাশক্ত হওয়ার কারণে তাহাকে চিকিৎসার জন্য কামরাঙ্গীরচর থানাধীন আশ্রাফাবাদে অবস্থিত জাগরণ মাদকাশক্তি নিরাময় ও সহায়তা কেন্দ্রে গত ০১ অক্টোবর ২০১৫ইং ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ মাস ১৪দিন পর ১৪ নভেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে আমার মায়ের মোবাইলে উক্ত মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র হইতে ফোন করিয়া জানায়, মোঃ মশিউর রহমান মামুন গুরুত্বর অসুস্থ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর শোনার পর আমারা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানায়, আমার ছোট ভাই মামুনকে মৃত্যু অবস্থায় এখানে আনা হয়েছে। মামুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে, তার কান দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত দেখা যায়।
এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সঠিক বিচার পাওয়ার আসায় কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করতে যাই। কামরাঙ্গীরচর থানা কতৃপক্ষ মামলা না নিলে ঢাকার সিএমএম আদালতে দঃ বিঃ ৩০২/৩৪ ধারায় জাগরণ মাদকাশক্তি নিরাময় ও সহায়তা কেন্দ্র এর মালিক মেহেদী হাসান চন্দনসহ ৬জনকে আসামী করিয়া মামলা দায়ের করি। মামলা নং- সিআর ৪১৮/২০১৫ইং। বিজ্ঞ আদালত ওসি কামরাঙ্গীরচর থানায় তদন্ত প্রেরণ করেন। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত না করিয়া আসামীদের দ্বারা অবৈধ ভাবে প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা প্রতিবেদক আদালতে দাখিল করেন। না রাজির প্রেক্ষিতে পিবিআই আমার কোন স্বাক্ষীদের কোন স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করিয়া সময় ক্ষেপনসহ নানা রুপ তাল বাহানা করিয়া আসছে। প্রতিষ্ঠানটি কোন সরকারি অনুমোদন নেই। বর্তমান মামলাটি ডিবি তদন্তধীন আছে। সঠিক তদন্ত পূর্বক আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের সুষ্ট বিচারের দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরোও উপস্থিত ছিলেন মোঃ হাবিবুর রহমানের বাবা মোঃ মহব্বত আলী, মাতা হাসেন বানু ও মামা শাহীন হাওলাদার।#
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply