1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

নড়াইলে পিআইও অফিসের কোটিপতি কেরানি মনিরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • সময় : শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৫১১ জন পড়েছেন
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের অফিস সহকারী মো. মনিরুজ্জামান মুকুল সামান্য কেরানি থেকে আজ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
নিজে চলাচল করেন ভিআইপি স্টাইলে। মনিরুজ্জামান হঠাৎ করেই এত সম্পদের মালিক হওয়ায় নড়াইল জুড়ে বইছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এ বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় নড়াইলের জনৈক ব্যবসায়ী মিলন খান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে ও অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের এগারো নলী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. মকসেদ মোল্যার ছেলে মো. মনিরুজ্জামান মুকুল পিআইও অফিসের ১৫ হাজার ৯৬০টাকা ব্যাসিক বেতনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তিনি গত ১০বছরে বরগুনা, মাগুরা, নড়াইলসদর ও লোহাগড়া পিআইও অফিসে চাকুরী করেছেন। বর্তমানে লোহাগড়া পিআইও অফিসে তিনি একাই একশ। কাউকে তোয়াক্কা না করে দুই হাতে অবৈধ পন্থায় কামিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
অফিস সহকারীরর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে অর্জিত টাকা দিয়ে লোহাগড়া পৌরশহরের মদিনা পাড়ায় ৮ শতক জায়গার ওপর কোটি টাকায় বিলাস বহুল একটি দ্বিতল আলিশান ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া মনিরুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি এগারো নলীতে আরো একটি দ্বিতল বাড়ি নিমার্ণ করেছে। পাশাপাশি তার নিজ নামে মাগুরা পৌরশহরের পার নান্দুয়লী গ্রামে ৭ শতক দামি জমি, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের পাশে এক খন্ড জমি, লাহুড়িয়া মৌজায় ২৪ শতক করে দুটি জমি, এগারো নলীতে আরো ৩০ শতক জমিসহ বিঘায় বিঘায় সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া নামে-বেনামে আরও সম্পদ রয়েছে, রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্সও। তার টাকায় দুই সহোদর ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।
তিনি অনৈতিক ভাবে তার মালিকানাধীন দু’টি বিলাস বহুল বাড়িতে দুটি ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি স্ট্রিট লাইট ও একটি লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এসিডিসি বসিয়েছেন। ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হলেও চলেন রাজার হালে, উঠা-বসা, চলা ফেরা হাই-প্রোফাইল লোকদের সঙ্গে। স্থানীয় প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে পিআইও অফিস থেকে অন্যের নামের লাইন্সেসে বিভিন্ন সময়ে অনেক কাজ বাগিয়ে নেন। বিভিন্ন সময়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে অশোভন আচারণ করে তাদের কাজের থেকে মাসোহারা নেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মনিরুজ্জামান মুকুল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও দামি বাড়ি ও সম্পত্তির কথা স্বীকার করেছেন। তবে পুরো টাকাই তিনি বৈধ ভাবে আয় করেছেন বলে দাবি তার। হঠাৎ করেই এত টাকার মালিক কি ভাবে হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি (মনিরুজ্জামান) সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দুদক কর্তৃক অর্পিত তদন্ত সম্পর্কে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ‘তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’#

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page