সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন রাণী আক্তার। এদিকে রেখে যাওয়া দুই সন্তান তার মাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এই ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের দারাজগাঁও গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের দারাজগাঁও গ্রামের আমির হামজার ছেলে আক্তারুল খানের সাথে সালডাঙ্গা ইউনিয়নের সালডাঙ্গা গ্রামের হামিদার রহমানের কন্যা রাণী আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভালই চলছিল। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। এই দুই সন্তানের বয়স প্রায় ১২ বছর।
সংসারে অভাবের কারণে ৫ বছর আগে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান আক্তারুল খান। ঢাকার গাজীপুর এলাকায় ডিবিএল গ্রুপ মাইমুন টেক্সটাইল মিলে চাকরি শুরু করেন রাণী আক্তার। এদিকে আক্তারুল অটোরিস্কা চালাতেন। কাজ শেষে গাজীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের সাথে রাত্রীযাপন করে আক্তারুল । কিছুদিন যাওয়ার পর ওই টেক্সটাইল মিলের স্টোর ম্যানেজারের আব্দুল হক চাকরি দেওয়ার কথা বলে রাণী আক্তারকে তার স্বামী আক্তারুকে মিলে আসতে বলে। এরপর রানী আক্তার তার স্বামীকে নিয়ে মিলে আসে এবং স্টোর ম্যানেজারের সাথে পরিচয় করে দেন। পরে আক্তারুল খাঁনকে ওই টেক্সাটাইল মিলে চাকরি নিয়ে দেন স্টোর ম্যানেজার আব্দুল হক। তার স্বামীকে চাকরি নিয়ে দেওয়ার সুবাদে আব্দুল হকের সাথে রাণীর ভাল এক সম্পর্ক হয়। এতে তাদের মাঝে পরকীয়া সম্পর্কের তৈরি হয়। চুটিয়ে প্রেম চলছিল তাদের।
বিষয়টি নিয়ে আক্তারুল ও রাণী আক্তারের মাঝে প্রায় সময় বাক-বিতন্ডা হত। পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল হকের পরামর্শে আক্তালের উপর মানষিক নির্যাতন শুরু করে রাণী। করোনার শুরুতে রাণী তার স্বামীকে বলে দুই সন্তানকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে রেখে আসতে। স্ত্রীর কথামত দুই সন্তানকে আক্তারুল খান ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে আসে। কিছুদিন পরে ঢাকায় ফিরলে আক্তারলকে বেধরক মারপিট করে তার স্ত্রীর পরকীয় প্রেমিক আব্দুল হক। এসময় আক্তারুলের কাছ থেকে ডিভোর্স পেপারে জোরপূর্বক স্বার নিয়ে পুণরায় ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠিয়ে দেয়।
রাণী আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার আগের স্বামী আক্তারুল তাকে প্রায় সময় মারপিট করত। এজন্য তিনি তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। রাণীর ছেলে ও মেয়ে জানান, তারা তার মাকে ফিরে পেতে চান। এজন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আক্তারুল খান বলেন, তিনি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। স্ত্রী ও আব্দুল হক মিলে আমাকে মারপিট করেছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক স্বার করে নেয়। এ বিষয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply