মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):- ৪৯,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)'র পৃথক দুটি অভিযানে বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৭৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি,তবে পাচার কারীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আসামী করা হয়েছে।
৪৯, ব্যাটালিয়ন,বিজিবি'র(যশোর) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সেলিম রেজা,পিএসসি জানান,বেনাপোল পোর্টথানাধীন সীমান্তবর্তী বিজিবি'র রঘুনাথপুর বিওপি তে সংবাদ আসে,রঘুনাথপুরে বিপুল পরিমান ভারতীয় গাঁজা মজুদ রয়েছে। খবর পেয়ে আজ সোমবার(৫ অক্টোবর) বেলা ১২'৩০ টার দিকে রঘুনাথপুর বিওপি'র হাবিলদার মোঃ শান্তি মিয়া তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রঘুনাথপুর গ্রামে অভিযান চালায়। গোপন তথ্য মোতাবেক সীমান্তের মেইন পিলার ২০/২ এস হতে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঐ গ্রামের সুমন মিয়ার বাড়ী তল্লাশী চালিয়ে রান্না ঘরের ভিতর থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, বিজিবি'র ঐ দলটি বেলা ১'৩০ মিনিটের দিকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম সার্বাংহুদায় অভিযান চালায়। গোপন তথ্য মোতাবেক ঐ গ্রামের বকুল হোসেনের বাড়ী তল্লাশীতে নামে বিজিবি। সেখানে কবুতরের বাক্স থেকে ৩৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সর্বমোট উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমান ৭৬ কেজি,যার বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২,৬৬,০০০(দুই লক্ষ ষেষট্টি হাজার) টাকা।
গাঁজা উদ্ধার প্রসংগে লেঃ কর্ণেল সেলিম রেজা বলেন,বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেনাপোল সীমান্ত পথ অত্যান্ত সহজতর হওয়ায় অবৈধ ব্যবসায়ী, মাদক কারবারী এবং চোরাকারবারীরা এই রুট ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু বিজিবি'র কড়া নজরদারীর কারনে তাদের সেই অবৈধ কৌশলকে ধরাসায়ী করতে সবসময় অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করছে বিজিবি। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
পলাতক আসামীরা হলো-রঘুনাথপুর গ্রামের সুমন মিয়া(২০) পিতা:- মো: আলী কদর এবং সার্বাংহুদা গ্রামের মো: মিষ্টারের ছেলে মো: বকুল হোসেন।
প্রেরক:- মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন
বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শা,যশোর।
মোবাইল:-০১৭৯১৩১২১১১।
You cannot copy content of this page