মোঃসাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):-দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ৪৯, বিজিবি’র অভিযানে হাতে তৈরী ২০টি তাজা ককটেল/হাতবোমা উদ্ধার হয়েছে।
৪৯,ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)’র যশোর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সেলিম রেজা পিএসসি জানিয়েছেন,দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র, হুন্ডি, মাদক, চেরাচালান ও স্বর্ণ আটকের নিমিত্তে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার(৬ অক্টোবর) বিকাল ২’৩০ মিনিটের দিকে বিজিবি’র কাছে সংবাদ আসে বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেনাপোল বন্দর এলাকায় কোন এক বাসা বাড়ীতে দুষ্কৃতকারীরা তাজা ককটেল মজুদ রেখেছে। খবরটি পাওয়া মাত্রই ৪৯, বিজিবি’র বেনাপোল কোম্পানী সদর এর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবাদার মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি চৌকষ দল বেনাপোল বন্দর এলাকায় অভিযানে নামে। তথ্য সুত্র মোতাবেক,বন্দরের ৫ নং গেইট সম্মুখের উত্তর পার্শ্ব বরাবর বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক আব্দুর রশিদ এর বাড়ী তল্লাশীর অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘক্ষন তল্লাশী শেষে ঐ বাড়ীর দোতলার একটি রুমের বাথরুম থেকে ২০ টি তাজা ককটেল/হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এগুলোর সিজার মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫০.০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা। তবে,অভিযান স্থান থেকে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে যশোর অধিনায়ক জানিয়েছেন।
এদিকে,তথ্য সংগ্রহে জানা গেছে,বন্দর এলাকার ঐ বাড়ীর দোতলার ঐ রুমটিতে বন্দরের কয়েকজন হ্যান্ডলিং শ্রমিক বাসা ভাড়া করে থাকে। অভিযানের সময় তাদের কাউকে সেখানে পাইনি বিজিবি’র অভিযান দলটি।
এলাকার মানুষ বলছে,বন্দরে আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের শক্তি জাহির করতে কিছু বহিরাগত দুস্কৃতিকারী ঐ বাড়ীর শ্রমিকদের অগোচরে ককটেল গুলি লুকিয়ে রাখতে পারে বলে তাদের ধারনা।
জব্দকৃত ককটেল/হাতবোমা গুলি বেনাপোল পোর্ট থানায় জমা প্রদান করা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
প্রেরক:-মোঃসাহিদুল ইসলাম শাহীন
বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শা,যশোর।
মোবাইল:-০১৭৯১৩১২১১১।
Leave a Reply