জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রীহল 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল'। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে হলটি। আগামী মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে হলটি উদ্বোধন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
রবিবার (১১ অক্টোবর) এই উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল পরিদর্শন করেন।
এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কসের পরিচালক প্রকৌশলী মো: সেলিম খান, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক কাজী মো: নাসীর উদ্দীন সহ অন্যান্য শিক্ষক এবং কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, করোনাকালীন সময়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা না গেলেও এবারের প্রধান আকর্ষন থাকছে জবির একমাত্র ছাত্রীহলটির উদ্বোধন। দীর্ঘ ১০ বছর পর জবির একমাত্র ছাত্রী হলটি উদ্বোধনের পথে। এ প্রকল্পের প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ ছিলো ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন। তৃতীয় দফায় ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় মেয়াদ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে শেষ হয় নির্মান কাজ। ২০ তলা ভিত্তির ওপর ১৬ তলা ভবনের হলটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬ মাস। প্রকল্প বাস্তবায়নের ভার দেয়া হয়েছিল শিক্ষা প্রকৌশল দফতরের ওপর। ১১১টি কক্ষবিশিষ্ট হলটিতে একটি লাইব্রেরি, একটি ক্যান্টিন, একটি ডাইনিং, প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট, আটটি গোসলখানা, ছাত্রীদের ওঠা নামার জন্য চারটি লিফট স্থাপন করা হয়েছে। হলটিতে এক হাজার ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি. বাংলাবাজারে অবস্থিত ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর ৯ম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী।
You cannot copy content of this page