নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদেরের সৃজনশীল কর্মকান্ডে গতিশীল উজ্জ্বলতায় পৌছেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি রাজশাহী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র আর রাজশাহীর ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স( এনটিসিএফ)।
মানবতার প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ ক্রমবর্ধমান উন্নয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে, বিভিন্ন মাপকাঠিতে দেশ এগিয়ে চলেছে অবিরাম। দেশের এরকম উন্নয়নের ধারাবহিকতায় থেমে নেই মনজুর কাদের’ও । তিনি সরকারি নির্দেশনা মতে সকল বিধি মেনে অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা-মনন দিয়ে রাজশাহী শিশু একাডেমিকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর কাজে ব্যপ্ত রেখেছেন নিজেকে।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদেরে ২০১৭ সালের শেষভাগে রাজশাহীতে যোগদানের পর থেকেই নদীর ধারের নির্জন এলাকার রাজশাহী শিশু একাডেমি মুখর হয়ে উঠেছে শিশুদের কলকাকলিতে। প্রতিটি জাতীয় দিবস-ই পালিত হচ্ছে উৎসব মুখরতায়। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে নিয়মিত । অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে নাচ, গান,আবৃত্তি, ছবি আঁকা, সুন্দর হাতের লেখা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুশীলন আর প্রশিক্ষণ।
শিশুদের সংগঠন এনটিসিএফ এর ডিসট্রিক্ট ভলান্টিয়ার জুলফিকার আলম মারুফ বলেন, আমার দেখা শিশু সংগঠক ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি-ই সেরা, কারন তাঁ রয়েছে শিশুদের সাথে শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে মেশবার এক দারুণ ক্ষমতা, আর সে কারনেই শিশুরাও তাঁর সাথে খুব সহজেই মনের সব কথা বলতে পারে। আমাদের সৃজনশীল কোন কাজেই তাঁকে না বলতে শুনিনি, বরং আমরা যেন দ্বিগুণ উৎসাহে ভালো কাজ গুলো করি সেই অনুপ্রেড়না যোগান সব সময়।
প্রখ্যাত প্রবীণ সংগীত প্রশিক্ষক ও শিশু একাডেমির শিক্ষক মঞ্জুশ্রী চৌধুরী বলেন, মনজুর কাদের একজন ভালো শিশু সংগঠক এবং কর্মকর্তা হিসেবেও সফল। তিনি রাজশাহী শিশু একাডেমির ছোট বড় যে বয়সেরই হোক না কেন সকল শিক্ষককে যথাযথ সম্মান করেন। এটি তাঁর একটি বড় গুন বলে আমি মনে করি। ফলশ্রুতিতে রাজশাহী শিশু একাডেমিতে বিগত ২ বছরে ছাত্র-ছাত্রী বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
এদিকে শিশু একাডেমি ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রের অধিকাংশ অভিভাকরাই মনে করেন বর্তমান জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা অতীতের সব কর্মকর্তার থেকে বেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন। অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সাথে ভালো আচরণ করার কথাও এখন অভিভাবকদের মুখে মুখে।
Leave a Reply