লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে অক্টোবর জুড়ে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই সেবামূলক কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া পার্কে ৪০ জন দিনমজুর ও পথশিশুদের নিয়ে একটি স্কুল উদ্ভোদন করা হয়। যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের ৩ টি করে খাতা, কলম, ইরেজার, বই, শার্পনার, গেঞ্জি বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। সপ্তাহে দুদিন সেখানে ক্লাস নেওয়া হবে এবং খাবার প্রদান করা হবে। প্রথম দিন ক্লাস পরিচালনা করেন জবি লিও ক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকী। উক্ত স্কুলের উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাইয়ন্স ৩১৫এ-১ জেলা গভর্নর লায়ন নজরুল ইসলাম সিকদার, প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর নিখিল চন্দ্র গুহ, দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তুফা কামাল, কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন খুরশিদ তরিকুল ইসলাম মাসুম, লায়ন্স ক্লাব অব ওয়ান প্লাস এর সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, মাল্টিপল লিও ডিস্ট্রিকের সহ-সভাপতি সুজন মিয়া, লিও জনি আকন্দ, লিও রায়হান, লিও চৈতি, লিও অমিত পাল, লিও নয়ন সহ আরও অনেক লাইয়ন্স ও লিও নেতৃবৃন্দ।
উক্ত উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে লায়ন নিখিল চন্দ্র গুহ বলেন, লায়ন্স ক্লাবের কার্যক্রম অক্টোবরে শুরু হয়েছিল তাই আমরা এ মাসের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এ বছর আমাদের জেলা ৩১৫এ১ অক্টোবর সেবা কার্যক্রমে যে সমস্ত পোগ্রাম হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সফল ও কার্যকরী প্রোগ্রাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিও ক্লাব করেছে বলে আমি মনে করি।
ইঞ্জিনিয়ার মোস্তুফা কামাল বলেন, শিক্ষা জাতির মেরেদন্ড। একটা দেশ কতটা উন্নত, তা নির্ভর করে সে দেশ কতটা শিক্ষিত। কারণ যার মধ্যে শিক্ষার আলো নাই, তারমধ্যে মূল্যবোধ এবং ভালমন্দের হিতাহিত জ্ঞান নাই। বাংলাদেশের এক জরিপে দেখা যায়, দেশের যত অপরাধ যেমনঃ ছিনতাই, চুরি, মাদক ব্যাবসা ইত্যাদি প্রায় সবগুলোর ই অশিক্ষিত পথ শিশুদের দ্বারা সংগঠিত হয়। আর পথ শিশুরা এমন কাজ করার পেছনে দায়ী হল, তাদের অভাব ও নিরক্ষরতা। তাই যদি তাদের অভাব দুর করা যায় এবং তাদের মধ্যে নূন্যতম শিক্ষার আলো পৌছানো যায়, তাহলেই দেশ থেকে অপরাধমুলক কাজ উঠে যাবে। দেশ হবে শতভাগ শিক্ষিত, অপরাধ মুক্ত সোনার বাংলাদেশ।
নূন্যতম খাদ্য অভাব, প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চয়তার জন্য লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি এই স্কুল উদ্ভোধন করেন। একই দিনে লিও ক্লাব অব জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি আরও অনেক সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ ডায়বেটিস শনাক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, গামছা বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ইত্যাদি।
You cannot copy content of this page