বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী সংগ্রহ বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সিট সংখ্যা অপূর্ণ রেখেই ক্লাস করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন করছে অপেক্ষামান থাকা শিক্ষার্থীরা।
এদিকে মহামারী করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগেই প্রশাসনিক ভাবে সকল একাডেমিক ভর্তি বন্ধ হয়েছে বলে মৌখিক বক্তব্য দিয়েছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তবে অফিশিয়াল ভাবে ভর্তি বন্ধ সংক্রান্ত কোন তথ্য দেয়নি বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন।
মৌখিক ভাবে একাডেমিক ভর্তি বন্ধের সময় বশেমুরবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডঃ এম এ সাত্তার বলেন ভার্সিটি শুরু থেকে, নির্ধারিত সিট সংখ্যার অধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ায়, ইচ্ছা করেই আর শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে না। সব ডিপার্টমেন্ট মিলে ১০০০ আসন সংখ্যা ফাঁকা রয়েছে। তিনি আরো বলেন সিট সংখ্যা ফাঁকা থাকলেও আমাদের ম্যানেজ করতে অনেক কষ্ট হয়।এবছর আর ভর্তি নেওয়া হবে না।
বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্টার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পাওয়া গেলে, একাডেমিক শাখা প্রধান সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম হিরা জানান, ২৭৫০টি সিটে কোটা ছাড়া ২৩০৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
একাডেমিক ভর্তি বন্ধ থাকায় ১ হাজার সিট ফাঁকা থাকার কথা। তবে সিট ফাঁকা রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক। বাকি সিটে কে বা কারা ভর্তি হয়েছে এ বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক জনাব মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য বা কথা বলবো না।
বশেমুরবিপ্রবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন- উক্ত বিষয়ে আমি অবগত নই।কতটি সিট ফাঁকা ছিল এবং কতজন ভর্তি হয়েছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই।পূর্ববর্তী দায়িত্বে যারা ছিলেন ইতোমধ্যে তাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো জানতে চেয়েছি। তবে কেউ যদি অনিয়ম বা দুর্নীতিতে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব।
বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার থেকে আগত অপেক্ষমান শিক্ষার্থী মোঃ হুমায়ুনুল ইসলাম বলেন- আসনসংখ্যা ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও বিনা নোটিশে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের নিকট আমাদের ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে আশ্বাস দেয়। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে লকডাউন দিলে কোন প্রকার অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করেও কোন ফল না পাওয়ায় অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। উল্লেখ্য যে, অনশনকারী শিক্ষার্থীরা এখনো কোনো স্মারকলিপি প্রশাসন বরাবর দেয়নি।
You cannot copy content of this page