অনলাইন ডেস্কঃ
৩রা নভেম্বর ১৯৭৫, বাঙালি জাতির জীবনের জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। সেদিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংস ও বর্বোরচিত হামলায় নিহত জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপকমিটির সাবেক সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রসায়নবিদ ড. জাফর ইকবাল।
রসায়নবিদ ড. জাফর ইকবালের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কয়েকদিন দিন কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে ৩রা নভেম্বর, জাতীয় জেল হত্যা দিবস তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে, জাতির জনকের অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে এমন বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে খুবই বিরল। ১৯৭৫ সালের এই দিন ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে বাংলার চার নেতা ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমদ, ক্যপ্টেন মনসুর আলী ও মুহাম্মদ কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার পর জাতীয় এ চার নেতা কে কারাগারে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে আটক করে রাখার পর যে চার নেতা বঙ্গবন্ধুর হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন, তাদেরকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশুন্য, নেতৃত্বশুন্য করাই ছিলো এই হত্যাকান্ডের মূল উদ্দেশ্য। স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে না পারে, স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। সেই ষড়যন্ত্র থেকেই নিরাপদ স্থান জেলখানার অভ্যন্তরে এই হত্যাকাণ্ড তারা সংগঠিত করে সেই চার নেতাকে মতো নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
রসায়নবিদ ড. জাফর ইকবাল পরিশেষে বলেন, আমার পক্ষ থেকে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি, জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রার্থনা করছি, তিনি যেনো এই বীর শহীদদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। সেই সাথে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
You cannot copy content of this page