মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):-
যশোর সিভিল সার্জনের ঝটিকা অভিযানে শার্শা উপজেলার নাভারণে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ও লাইসেন্স ছাড়াই চালানোর অভিযোগে দুইটি বেসরকারি ক্লিনিক সিল-গালা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারে অবস্থিত এ সি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও জোহরা ক্লিনিকে যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন ঝটিকা অভিযান চালিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ দুই বছর ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ও লাইসেন্স ছাড়াই এ সি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার গোপনে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে যশোর সিভিল সার্জন অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে এ সি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল-গালা করে বন্ধ করে দেন। এ সি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিবেশ ও রুগীসেবার মান অতি নিম্নমানের হওয়ার কারনে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে তিনি জোহরা ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন। জোহরা ক্লিনিকে সনদধারি কোন ডাক্তার ও নার্স খুজে পাওয়া যায়নি। সেখানেও পরিবেশ ও রুগীসেবার মান অতি নিম্নমানের হওয়ার কারনে তিনি জোহরা ক্লিনিকও সিল-গালা করে বন্ধ করে দেন।
যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন বলেন, নাভারণের দুইটি ক্লিনিক এ সি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও জোহরা ক্লিনিক রুগীসেবা দেয়ার মত কোন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি এবং লাইসেন্স ছাড়াই গোপনে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। দুইটি ক্লিনিকের সনদধারি কোন ডাক্তার ও নার্স খুজে পাওয়া যায়নি। প্যাথলজি, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রামের বা অন্যান্য বিভাগগুলির পরিবেশ এতই নাজুক অবস্থায় আছে যা চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য বলে গন্য করা যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম-নীতির ভিতরে চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুইটি ক্লিনিক সিল-গালা মেরে বন্ধ করে দেয়া হলো। অভিযানের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী সাথে ছিলেন।
প্রেরক:-মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন
বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শা,যশোর।
মোবাইল:-০১৭৯১৩১২১১১।
Leave a Reply