আবদুর রহমান,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
আসন্ন রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সবাই নিজেদের অবস্থান থেকে প্রতিনিয়ত এলাকাব্যাপী গনসংযোগ ও কুশলাদি বিনিময় করছেন।কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন অনেকেই।কে হতে যাচ্ছে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর সেটাই দেখার পালা।রামগঞ্জ পৌর সভার ০৪ নং কলচমা ওয়ার্ডে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক মনির হোসেন রানা জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি প্রতিনিয়ত তার নিজ এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরছেন।সকলের সুখ দুঃখের কথা শুনে তাদের পাশে দাড়াচ্ছেন।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সম্ভাব্য এই প্রার্থী।
জানা যায়, মনির হোসেন রানা ১৯৯৭ সালে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকা অবস্থায় সর্বপ্রথম নিজস্ব উদ্যোগে কলচমা গ্রামে শেখ রাছেল স্মৃতি সংসদ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন এবং দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে পশ্চিম কলচমা দারুল উলুম জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।দেশের ক্রান্তিলগ্নে করোনা মুহুর্তে খাদ্য সহায়তা দিয়ে এলাকার দিনমজুর অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব তহবিল থেকে দান অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থীর বিষয়ে জানতে চাইলে মনির হোসেন রানা জানান, কলচমা ওয়ার্ডে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ইত্যাদি ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে, এটি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করলে যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচানো যাবে না।তাছাড়াও কলচমা ওয়ার্ডের বেশিরভাগ মানুষই আর্থিকভাবে এখনও অস্বচ্ছল, ওয়ার্ড ভিত্তিক অনেক উন্নয়নমুলক কাজও বাকি রয়ে গেছে। তাই তিনি কলচমা ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হতে পারলে রামগঞ্জ আসনের এমপি ড. আনোয়ার খানের হাতকে শক্তিশালী করে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং নির্মুল সহ উন্নয়নমুলক কাজগুলো সমাপ্ত করে একটি মডেল কলচমা উপহার দিবেন।সকলের সুখে দুঃখে পুর্বের ন্যায় আরও বেশি এগিয়ে আসবেন।সরকারি সকল বরাদ্ধ সমভাবে বন্টন করবেন, কেউ যেন না খেয়ে থাকতে হয় সেই লক্ষেই কাজ করে যাবেন।তাই কলচমা ওয়ার্ডের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের দোয়া ও সামর্থন প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
You cannot copy content of this page