স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের নিমগাছী পুল্লা দাখিল মাদ্রাসায় নৈশ প্রহরী ও আয়া
পদে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পূর্ব নির্ধারিত পছন্দের প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির
সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা আবু তালেব, সদস্য আমজাদ হোসেন ছানা ও সুপারিনটেন্ডেন্ট হাফিজুর রহমান রহমান।
এদিকে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষায়
সম্পন্ন করায় প্রার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ, উত্তেজনাসহ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে মাদ্রাসা ঘুরে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রায়গঞ্জ উপজেলার পুল্লা দাখিল মাদ্রাসায় নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৈশ প্রহরী পদে ৪ জন ও আয়া পদে ৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষার আগেই রায়গঞ্জ উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু তালেব, ম্যনেজিং কমিটির সদস্য, সোনাখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ছানা ও সুপার হাফিজুর রহমান পরস্পর যোগসাজসে তাদের পছন্দের প্রার্থী মাহমুদুল হক সেতু ও আফসানা মিমির নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষা
সম্পন্ন করেছেন। টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ঘটনায় এলাকার শিক্ষানুরাগী মহল বিক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তাদের দাবী, মেধা যাচাই না করে নামকাআস্তে লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত করে ডিজির প্রতিনিধি বগুড়া মোস্তফা আলীয়া মাদ্রাসার প্রভাষক আব্দুল জলিল ও রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল আলমকে আদায়কৃত টাকার একটি অংশ তাদের ২জনকে দিয়ে ম্যানেজ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া
সম্পন্ন করেছেন। এলাকার সচেতন মহলের দাবী এভাবে তারা ইতোপূর্বেও নিয়োগের
নামে তারা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকা বাণিজ্য করে আত্মসাত করেছেন। আওয়ামীলীগ নেতা আবু তালেব ও আমজাদ হোসেন ছানা এভাবে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতাদের ওই টাকার একটি অংশ দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করেছেন। এমনকি আবু তালেব ও আমজাদ হোসেন ছানা তাদের
পাতানো নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করতে তাদের পূর্ব নির্ধারিত ও পছন্দের প্রার্থীর বাইরে অন্য প্রার্থীর লোকজন যাতে প্রতিষ্ঠানে এসে কোন আওয়াজ
করতে না পারে সেজন্য পেশীশক্তি হিসেবে ওই সকল স্থানীয় নেতাদেরকে নিয়োগ
পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান ঘিরে রেখেছিলেন। স্থানীয়রা বলছেন, তাদের দু'জনের হাতে মাদ্রাসাটি আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। পাতানো এ নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগিসহ এলাকাবাসী। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু তালেব ও সদস্য আমজাদ হোসেন ছানা
বলেন, একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধি, সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি
খরচ, ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ম্যানেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায়ও অর্থ খরচ হয়। তবে নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তার মধ্য হতে উল্লেখিত টাকা খরচ বাদে যা থাকবে তা
দিয়ে তিনি মাদ্রাসার উন্নয়ন করা হবে।
মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কোন কিছু বলার থাকলে সভাপতি আবু তালেব ও সদস্য আমজাদ হোসেন ছানাকে বলেন। কারণ কিভাবে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে তা উনারাই ভালো বলতে পারবেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজী হননি।
রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম বলেন, ওই মাদ্রাসায়
নৈশ প্রহরী ও আয়া নিয়োগে অর্থ লেনদেনের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
You cannot copy content of this page