নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার একই পরিবারের ৫জন সহ ৭ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে দৌলতপুর উপজেলার মুলকান্দি নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালক সহ সিএনজিতে থাকা সকলেই মারা যায়। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি আটক হলেও এর চালক পালিয়ে যায়। মর্মান্তিক এ ঘটনায় নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকর পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতরা হলো নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকর পাড়ার মৃত নিতাই বাদ্যকরের ছেলে হরেকৃষ্ণ বাদ্যকার (৫০), তাঁর ছেলে গোবিন্দ বাদ্যকার (২৮), গোবিন্দের স্ত্রী ববিতা বাদ্যকার (২৫), মেয়ে রাধে বাদ্যকার (৪), গোবিন্দের দাদি খুকি বাদ্যকার (৭০), গোবিন্দের ধর্ম শ্বশুর একই এলাকার মৃত জুড়ান বাদ্যকরের ছেলে রামপ্রসাদ বাদ্যকার (৩৫) এবং দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর গ্রামের সদর আলীর ছেলে সিএনজি চালক জামাল শেখ (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ নাতনির চিকিৎসার জন্য স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন হরেকৃষ্ণ বাদ্যকর। তাঁরা দৌলতপুর থেকে সিএনজিচালিত একটি সিএনজি ভাড়া করে মানিকগঞ্জে যাচ্ছিছিলেন। বিকেলের দিকে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের দৌলতপুরের মুলকান্দি এলাকায় পৌঁছালে সিএনজির সঙ্গে ভিলেজ লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজি অটোরিক্সাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই সাতজন নিহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, নিহতদের সবাই সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী। তাঁদের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে এ ঘটনার পর হরেকৃষ্ণ বাদ্যকরের স্ত্রী শোকে পাথর হয়ে গেছেন। পরিবারের সকলকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
You cannot copy content of this page