দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ ৯,ডিসেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস’। ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। ২০০৭ সাল থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অধীনে বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করা শুরু হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিবছর দিবসটি পালন করলেও সরকারিভাবে দিবসটি পালিত হতো না।এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস হিসেবে পালনের অনুরোধ জানিয়ে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদে পত্র প্রেরণ করে। তার জের ধরে ১৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে এই দিনটিকে সরকারীভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।২০১৭ সালেই প্রথমবারের মত সরকারীভাবে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। “রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশে স্লোগানটি নিয়ে দিবসটি পালন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি বৈশ্বিক সমস্যা বলেই বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন,দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যক্তির লাভবান হলেও সে অর্থ দেশ বা সমাজের কোন কাজে লাগছে না। বাংলাদেশে প্রতিবছর দুর্নীতির মাধ্যমে কি পরিমান অর্থ আয় করা হয় সেটার সঠিক তথ্য উপাত্ত কারো কাছে নেই। তবে দু্র্নীতি নিয়ে যেসলক সরকারি বেসরকারি সংস্থা কাজ করে তাদের ধারনা এই পরিমান লক্ষ কোটি টাকার কম নয়। দু্র্নীতিকে মোটামুটি দুটি ভাগে ভাগ করা চলে। একটি হলো সেবা খাতের দুর্নীতি, ঘুষ হিসেবে যেটি বর্ননা করা হয়। এর ফলে যারা সেবা নিচ্ছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে অর্থ সম্পদের মালিক হচ্ছেন। আরেকটি দুর্নীতি হলো রুই – কাতলা দুর্নীতি বা বড় মাপের দুর্নীতি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় কেনাকাটা থেকে শুরু করে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় সেগুলোর মাধ্যমে করা দুর্নীতি। এক সূচকে দেখা গেছে, দুর্নীতির দিক থেকে বাংলাদেশে শীর্ষ ১০৮ টি দেশের মধ্যে ১৩ তম। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শীর্ষ দু্র্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর তালিকায় চ্যাম্পিয়নস ছিলো বাংলাদেশ। ২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া নতুন দু্র্নীতি ধারনা সূচকের তালিকায় শীর্ষ না হলেও প্রথম ২০ টি দেশের মধ্যে নাম থাকছে বাংলাদেশের। দু্র্নীতির বিরুদ্ধে সর্বসাধারণকে সোচ্চার ও সচেতন করার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস টি পালিত হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply