প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৬:৪৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৪, ২০২০, ১২:২২ অপরাহ্ণ
লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তার নামে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ
যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় নড়াইলের লোহাগড়া সাবজোনাল অফিসের পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা এজিএমকম মো. রুবেল হুসাইনের নামে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে এক বিধবার ৬১ টাকার বিদ্যুত বিলের পরিবর্তে ৫শত ৬৩টাকা আদায় করেছেন।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের গ্রাহক মোসাঃ মাছুরা বেগম সম্প্রতি ঝড়ে মিটারের তারের ওপর গাছ পড়ে মিটার ঝুলে যায়। বিষয়টি এজিএমকমকে অবহিত করার পর তিনি বিদ্যুতের লাইনম্যান মাহমুদকে লাইনটি সেরে দিতে পাঠান। লাইনম্যান মাহমুদ মিটারটি বোর্ডের সাথে না আটকিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে কোন রকম রেখে যায়। মিটারটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকার কারণে বিষয়টি কয়েক বার এজিএমকমকে জানানো হলেও তিনি কোন গুরুত্ব দেননি। গত নভেম্বর মাসে মিটার রিডার হোসেন আলী ওই বিধবার ৫ ইউনিটের ৬১টাকা বিদ্যুত বিল হলেও মিটারটি অরক্ষিত থাকার কারণে ৫শত টাকা জরিমান করেন। বিলটি হাতে পেয়ে বিধবা হতভম্ব হয়ে যায়।
বিলটি নিয়ে একাধিক বার অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তিনি (এজিএমকম) কিছুই করতে পারবেনা বলে বিলটি পরিশোধ করতে বলেন। সাথে সাথে নতুন মিটারের জন্য ২৩০ টাকাও নিয়ে নেন। কোন উপায়ান্ত না পেয়ে জরিমানাসহ গত রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে বিলটি পরিশোধ করা হয়।
আরোও জানা যায়, ওই গ্রামের বিধবা মর্জিনা খাতুনের একটি ভুতুড়ে বিল একই ভাবে আদায় করা করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ‘অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচারণসহ এজিএমকমের নারী প্রীতিও রয়েছে।’
এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুত অফিসের মিটার রিডার হোসেন আলী বলেন, ‘মিটারটি অরক্ষিত থাকার করণে আমি রিপোর্ট করেছি। জরিমানা করেছে অফিস থেকে। তবে একবার হলেও গ্রাহককে জানানো উচিত ছিলো। বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন লোহাগড়া সাবজোনাল অফিসের এজিএম মো. রুবেল হুসাইন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিল তৈরী হয়ে যাওয়ায় তার কিছুর করার নেই বলে বিলটি দেওয়ার জন্য সাফ জানিয়ে দেন।
© 2024 Probashtime