প্রতিদিনের সময় প্রতিবেদকঃ প্রবাসে কিংবা বিদেশ বিভুইয়ে বাংলাদেশ ভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা চলছে বহুকাল থেকে। দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা উপশাখা রয়েছে বিদেশের দেশে দেশে। জাতীয় দিবস থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা অনুষ্ঠান অত্যেন্ত আনন্দগণ পরিবেশে উদযাপিত হয়। আর এই কাজগুলো নিপুনভাবে সম্পাদন করেন রাজনীতি প্রেমী কিংবা দলের প্রতি আনুগত্য থাকা কিছু নিবেদিত নেতা কর্মী।
তেমনি ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সবচেয়ে বড় দল আওয়ামীলীগ, বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টির শাখা রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে জাতীয় পার্টিকে সু-সংগঠিত করতে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টি ফ্রান্স শাখার সাধারন সম্পাদক বৃহত্তর কুমিল্লার কৃতি সন্তান চাদঁপুর কচুয়ার অভিবাসী হাবিব খান ইসমাইল।
জাতীয় পার্টির প্রচার প্রসারে যিনি অনবদ্য ভুমিকা রেখে সম্মানিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ পেয়ে। এর আগে তিনি যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। রাজনৈতিক দল ছাপিয়ে যিনি সামাজিক নানা কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে জনমনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, এবং ফ্রান্সে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে স্বচ্ছ ইমজের অবস্থান তৈরী করেছেন। ফ্রান্সের সামাজিক সংগঠন বৃহত্তর কুমিল্লা জনকল্যান সমিতি ফ্রান্সের অন্যতম উপদেষ্ঠা হিসাবে কমিউনিটিতে শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন।
হাবিব খান ইসমাইল বিদেশ বিভূইয়ে অবস্থান করলেও প্রতিনিয়ত অনুভূব করেন ফেলে আসা মাটির টান। দেশের নানা ক্রান্তিকালে দলীয় কার্য্যক্রমের বাহিরেও গরীব দূঃখী অসহায়দের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন হাজী মুসলিম প্রধান মেমোরিয়াল কল্যাণ ফাউন্ডেশন। মরিয়া হয়ে উঠেন দেশের জন্য কিছু করার। তাই তো তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন চাদঁপুর-কচুয়া ১ আসন থেকে।
পল্লী বন্ধু এরশাদের জীবনী থেকে অনুপ্রানীত হয়ে গ্রাম বাংলার সর্বস্তরের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সবসময়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সচেষ্ঠ থাকেন। হাবিব খান ইসমাইল বলেন মানুষ মানুষের জন্য, নিজেকে নেতা হিসাবে নয় একজন ভালো মানুষ হিসাবে সবসময় উপস্থান করার চেষ্ঠা করি, মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ দূর্দশা লাগবে আমৃত্যু কাজ করে যাবো।
ব্যাক্তি জীবনে হাবিব খান ইসমাইল অত্যেন্ত সুখী ও সমৃদ্ধ। ২ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। সুযোগ পেলেই ছুটে যান প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। রাজনৈতিক সভা সমাবেশ ছাড়াও গ্রাম বাংলার মেঠো পথ ধরে অসাহয় মানুষের সান্নিধ্যে প্রকৃত সুখ খুজে পান।
করোনা কালে জাতীয় পার্টি ফ্রান্স শাখার উদ্যোগে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে হাবিব খান ইসমাইল অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন আবারো পৃথিবী ফিরো আসবে তার আপন মহিমায়। যারা এই দুঃসময়ে স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এবং করোনা থেকে বাচঁতে জনসচেতন বাড়ানোর প্রতি তাগিদ দেন। এছাড়াও তিনি ফ্রান্স প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দেয়া ২০ লক্ষ টাকা দূতাবাসের উদ্যোগে রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ১৫ সদস্যের ত্রান কমিটির অন্যতম সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
Leave a Reply