বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় দপ্তর উপ- কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা শামীম।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এই কমিটির সদস্যসহ তিনি আরও ২ বার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির দ্বায়িত্বে ছিলেন।
ইস্কান্দার মির্জা শামীম পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। ছাত্র জীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি মাধ্যমে তার রাজনৈতিক পথ চলা শুরু। সরকারি মুজিব কলেজে ছাত্রলীগের দ্বায়িত্বে থেকে তখনকার সময় নানা হামলা মামলা পেরিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়। সেখানেও থেমে ছিলো না রাজনৈতিক পথ চলা। আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচিতে তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের’র হাত ধরে যখন দলের একেবারে দূঃসময় ছিল তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দ্বায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চ আন্দোলনে ইস্কান্দার মির্জা শামীম প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন। যে আন্দোলনে বিএনপির পতন হয়েছিলো। ২০০১ এর দলের দূঃসময় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বিএনপি জামাতের দ্বারা বার বার হামলার শীকার হয়েছেন। কিন্তু দমে যায় নি। শামসূন নাহার হলে পুলিশি হামলায় আন্দোলনে , শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে ওয়ান ইলেভেনসহ অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এছাড়াও দলের দূঃসময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের’র সর্বাক্ষণিক পাশে থেকে তিনি কাজ করেছেন।সকল জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন। এভাবে দির্ঘ্য ৩২ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে ছিলেন। কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে সর্বশেষ ইস্কান্দার মির্জা শামীম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ দপ্তর উপ কমিটির সহ সম্পাদক হন। এরপর কয়েক বছর তিনি দলীয় পদের দ্বায়িত্বে বাহিরে ছিলেন।
করোনা পরিস্থিতিতে যখন লকডাউনের পর সাধারণ মানুষরা কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়ে ঠিক তখন তিনি তার নিজ জন্মস্থান নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অসহায় মানুষের মাঝে দফায় দফায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দেন যারাই খাদ্যসমস্যাসহ যে কোন সমস্যায় ভুগবে আমি তাদের ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রীসহ সার্বিক সহযোগিতা করবো। তারই বাস্তব রূপ দিয়ে তিনি টানা ১ মাস ধরে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। এখানেই শেষ নয়, যখন মৌসমের শেষ প্রান্তে এসে কৃষকরা মাঠের ফসল পাকা ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েন ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি নিজে মাঠে নেমে পড়েন এবং সাধারণ কৃষকদের কয়েক’শ বিঘা জমির পাঁকা ধান কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। করোনার সম্মুখ যোদ্ধা পুলিশ ও ডাক্তাররা যাতে নিরাপদ থাকে সেজন্য তিনি তার উপজেলায় থানা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিএ ও জিবাণুনাষক টার্নেল প্রদান করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাক্স ও পিপিএ বিতরণ করেন। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা যখন করোনা মোকাবেলায় ত্রাণ তহবিল গঠন করেন সেখানেও তিনি ২ লাখ টাকা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইস্কান্দার মির্জা শামীম বলেন, দলীয় পদ পাওয়াটা আমার কাছে মূল বিষয় নয় আমার কাছে মূল বিষয় আমি দলের জন্য কি করতে পেরেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর আমাদের উচিৎ আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই দেশকে রক্ষা করা। দলের দূঃসময়ে কাজ করেছি তাই শুধু পদ নয় মন থেকে দলকে ভালোবাসি। এজন্য দলকে রক্ষা করার যে কোন কোন পরিস্থিতিতে নেত্রীর পাশে ছিলাম এবং থাকবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমার উপ আস্থা রেখে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন আমি যেন আমার কর্ম আমার সততা দিয়ে তা রক্ষা করতে পারি সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
You cannot copy content of this page