নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুর রহিম সরদারকে (৩৭) বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী মুশফিকুর রহমান লিটনের সমর্থকরা। গুরুতর আহত রহিম সরদারকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জখমী আব্দুর রহিম সরদার নিজেই বাদী হয়ে ১৭জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কালিয়া বাজারের কলেজ রোডের রাজুর কসমেটিক্সের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
থানায় দাখিলকৃত এজাহার, স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, উপজেলার বেন্দা গ্রামের আব্দুর মালেক সরদারের ছেলে আব্দুর রহিম সরদারকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান লিটনের সমর্থক সাইফুল্লাহ বিশ্বাস (৩২), মহিবুল্লাহ বিশ্বাস, জামাল বিশ্বাস (২৮), কুবাদ শেখ (৩২), সালমান মোল্যা (২৫), জাকারিয়া ফকির, রানা শেখ (৩২), আব্দুল্লাহ শেখ (৫০), স্বপন দাই (৪৫), লিটন চৌধুরী, লিটু শেখ (৪৫), তরিকুল ইসলাম (৫৮), পিল্টু শেখ (৩৫), অনিক শেখ, ইমদাদ শেখ (৪০), রামিম হাওলাদার (৩০), ফসিয়ার শেখসহ (৫০) ৩০/৩৫জন সন্ত্রাসীরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ কালিয়া বাজারের রাজুর কসমেটিক্সের দোকানের সামনে গিয়ে নির্বাচনে কোথায় ভোট দেবে প্রশ্ন করে। তখন আব্দুর রহিম সরদার বলেন, তারা নৌকার লোক নৌকায় ভোট দেবেন। এ কথা শুনেই পৌরসভা নিবার্চনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করা ও ভোট দেয়ার স্বাদ মেটায় দে বলে তাকে মারধর শুরু করে। লোহার রড ও কাটা বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে তার বাম হাত, পিঠ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তান্ত জখম করে হত্যা চেষ্টা চালায়। মারধরে আব্দুর রহিম অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় আহতের কাছে থাক টাকা ও পরিধেয় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
পরে আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রারর্্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরার সমর্থকদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বলেন, ‘আব্দুর রহিমকে চিকিৎসার পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নৌকার বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারনে না।’
এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’#
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply