নড়াইলের লোহাগড়ায় রেজিষ্টেশনবিহীন সমিতি খুলে গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সমিতির সদস্য উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের গোবিন্দ কুমার মন্ডলের স্ত্রী বিউটি রানী মন্ডল বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারী লোহাগড়া থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লুটিয়া গ্রামের সম্রাট ঘোষ, মাজেদুল হক, সোনাদাহ গ্রামের ইমরান চৌধুরী, দিঘলিয়া গ্রামের সাকিব মল্লিকসহ কয়েকজন মিলে লুটিয়া গ্রামে ‘লক্ষীভান্ডা সমিতি’ নামে একটি সংগঠন খুলে এলাকায় ধীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ওই সমিতি এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বসতঘর, গভীর নলকুপ ও অগভীর নলকুপ দিলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে নলকুপ, বসতঘর না দিয়ে ধীর্ঘদিন ধরে ঘুরাতে থাকে। সমিতির সদস্য বিউটি রানী মন্ডল এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাইত্রিশ জনের কাছ থেকে নরমাল নলকুপ দেওয়ার কথা বলে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা, আটজনের কাছ থেকে গভীর নলকুপ দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা এবং আটটি বসতঘর দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা এনে সমিতির সভাপতি সম্রাট ঘোষের কাছে জমা দেয়। টাকা নেওয়ার পর সভাপতি গ্রাহকের নলকুপ ও বসতঘর না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে এবং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সভাপতি সম্রাট ঘোষও সম্পাদক মাজেদুল হক বিউটি মন্ডলকে মোবাইলে গালিগালাজ করে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় বিউটি মন্ডল বাদী হয়ে লক্ষীভান্ডা সমিতির সভাপতি, সম্পদক ও কোষাধ্যক্ষর নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
সমিতির রেজিষ্ট্রেশন ও টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি সম,্রাট ঘোষ বলেন, সমাজ সেবা অফিস থেকে সমিতির নিবন্ধন করা আছে। বিভিন্ন বিদেশ থেকে তার ভাইসহ আত্মীয়স্বজন ফান্ডে টাকা পাঠায়, সে টাকা দিয়ে নলকুপ দেওয়া হয়।
লোহাগড়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শামীম রেজা জানান, লক্ষীভান্ডার নামে কোন সমিতি তার অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত হয়নি এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয়।#
Leave a Reply