সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ৩ নং ধুবিল ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান পার্থীর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে না থেকে প্রচারনার ব্যানারে সভাপতি পদ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক সভাপতি না হয়েও প্রচারের ব্যানারে সাবেক সভাপতি সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান পার্থী মোঃ মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের ভিতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের দাবী ছাত্রলীগের কর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য এগিয়ে থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষনার কারনেই এমন প্রচারনায় নেমেছে সে ।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান তালুকদার জানান, মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদার আমার জানা মতে সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজের কোনদিন সভাপতি ছিলো না।
সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক জানান আমি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আছি, তিনি পূর্বে কোন পদে সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজে ছিলেন না এমনকি ২০০১-০৮ সাল আওমীর ক্লান্তি লগ্নেও আওয়ামীর সাথে ছিলেন না। দলের জন্য কোন পরিশ্রমও দেন নি তিনি।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম সেলিম জোর দাবী করে বলেন- মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদার সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজের কোনদিন সভাপতি ছিলো না ।
এ বিষয়ে বর্তমান সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান বাচ্চু ও সাধারন সম্পাদক রিপন হাসান পদে না থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার এমন খায়েসের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও ঘুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ মোঃ জিল্লুর রহমান জানান,মিজানুর রহমান রাসেল কোনদিন সলঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনৈতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না।
এ বিষয়ে জানতে সলঙ্গা থানার ৩ নং ধুবিল ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান পদপার্থী মোঃ মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান আমি ১৯৯৫-৯৭ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করি।আমাদের কমিটি মৌখিক ভাবে দেওয়া ইয়েছিল। তার কেবিনেটের সাধারন সম্পাদকের নাম জানতে চাইলে তিনি জানান ওই সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাসুদ নামের একজন। তিনি বর্তমান সৌদি আরবে থাকেন ।মাসুদের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বিরক্ত হয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
Leave a Reply