প্রবাসী ডেস্কঃ
২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীন বাংলার অবরুদ্ধ রাজধানী ঢাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা দিনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলিত হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির মন্ত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার দিন। আজ একইসঙ্গে বেদনা ও আনন্দের দিন। বেদনাকে প্রতিজ্ঞায় পরিণত করে যুদ্ধের শপথ নেওয়ার দিন আজ। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিনটি ঘিরে বার্তা দিয়েছেন ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার রোজী ও সাধারণ সম্পাদক নয়না আহমেদ।
২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় ইতালি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার রোজী দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাই তো তিনি স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি বৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ মহাকাশেও নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। জাতি ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
পৃথক বার্তায় সাধারণ সম্পাদক নয়না আহমেদ বলেন, ২৬শে মার্চ বাঙালির আত্মপরিচয় অর্জনের দিন। পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিন। বর্তমান সরকারের ওপর দেশের মানুষ যে দৃঢ় আস্থা রেখেছে, সরকার তার পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করবে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আজকের এ ঐতিহাসিক দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
Leave a Reply