মো জান্নাতুল বিশ্বাস নড়াইল প্রতিনিধি!! নড়াইলে কালবৈশাখী ঝড় আর গরম বাতাসে ইরি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর থেকে ধানগাছ স্বাভাবিক মনে হলেও ছড়ায় থাকা ধানগুলো চিটে হয়ে গেছে। বাতাসের তোরে কিছু কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। প্রথমদিকে ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরা মনে করছিল এবার তাদের ফলন আশানুরুপ হবে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গত রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ের কারনে কৃষকদের আশা আকাঙ্খা ভেঙ্গে গেছে। শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কৃষকেরা। অধিকাংশ কৃষক ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি ধান চাষ করেছেন। সুদে টাকা নিয়ে ধান রোপন করা কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন ভেস্তে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম , ননীক্ষির, কোড়গ্রাম, মাঠে ধানের শিশ সাদা হয়ে গেছে। ফুল আসতে শুরু করা এ ধানে ঝড়ের বাড়িতে ধানের শিশ গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সাদা সাদা হয়ে গেছে ফসলের মাঠ। এছাড়াও , তুলারামপুর, শেখহাটি, কলোড়া সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই অবস্থা লক্ষ দেখা গেছে।
লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ইছামতি বিলে ইরি ধানের জমির ফসল কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধান ক্ষেতে যেয়ে পাওয়া কৃষক বনিআমিন জানান, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি। কিন্তুু গত রবিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে অধিকাংশ ধানের বাইল লাল হয়ে পরে সাদা হয়ে যাচ্ছে, ধানের মধ্যে কোন দানা নাই।
এছাড়াও একই গ্রামের ঝিকু বলেন,আমি প্রায় ৪ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি কিন্তুু এবারের ঝড়ে ধানের সর্বনাশ হয়ে গেছে। বিভিন্ন যায়গা থেকে টাকা ঋন করে ইরি ধানের চাষ করেছি। কিন্তুু শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারব কিনা আল্লাহ জানে।
কামরুল,কালু,শফিক ও হাবিব শরিফসহ আরও অনেক কৃষক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের মাঠে ইরি ধানের বাইল সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধার দেনা করে ইরি ধানের চাষ করেছি ঠিকমত ধান ঘরে তুলতে না পারলে কিভাবে ঋনের টাকা শোধ করব। এছাড়াও ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ইরি ধানের ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমেরন বিশ্বাস বলেন,ধান গাছে শিষ বের হওয়ার পর দুধভরা অবস্থায় ৩৫ ডিগ্রির উপরে বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রার কারণে দুধভরা শিষের ফুল পড়ে গিয়ে পরাগায়ন না হওয়ায় পরদিন রোদের তাপে শিষ শুকিয়ে গেছে। তবে ধানে ঠিকমত পানি রাখতে হবে। ১৫০ গ্রাম পটাশ লাল সার ১০ লিটার পানিতে ভালেভাবে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করতে হবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান , কালবৈশাখী ঝড়ে এবং গরম বাতাসে ধানের ফুল পড়ে গিয়ে পরাগায়ন না হওয়ায় ধানের এ ক্ষতি হয়েছে। #
Leave a Reply