কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর চর বারুইটারী আলিম মাদ্রাসা ও ভুরুঙ্গামারী ফাজিল মাদ্রাসায় লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় অতি গোপনে দিয়ে অধ্যক্ষ চুক্তিভিত্তিক তাদের মনোনীত প্রার্থীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা রফার গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে লাইব্রেরিয়ান গোপন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিজির প্রতিনিধি নেয়ার বিষয়টি ফাঁস হলে জনমনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর বারুইটারী আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুকুল হাসান ও ভুরুঙ্গামারী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় গোপনে দিয়ে চুক্তিভিত্তিক তাদের মনোনীত প্রার্থীর কাছে আগাম ৮-৯লাখ টাকা রফায় হাতিয়ে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজির প্রতিনিধি নেওয়ার জন্য দরবার করছেন এবং অতি গোপনে নিয়োগ বোর্ড গঠনের পায়তারা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, অত্র দুটি মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কোন পত্রিকার দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই জানি না। অধ্যক্ষ ও কমিটির যোগসাজশ করে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করে আগাম মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
রায়গঞ্জ ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, চর বারুইটারী আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুকুল হাসান কিছুদিন আগে সম্প্রতি গোপনে দু’টি পত্রিকায় অধ্যক্ষসহ ৬পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অতি গোপনে তার মনোনীত প্রার্থীর নিকটে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুকুল হাসান তার দলীয় স্বজন হওয়ায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন রামখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম জেলার নিষিদ্ধ জামায়েতি ইসলামি দলের নেতা কাজী মোশারফ হোসেনকে। আমরা রায়গঞ্জ ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের মানুষ বঙ্গবন্ধু আদর্শ কে বুকে ধারণ করে নৌকা করি। নিষিদ্ধ জামায়েতি ইসলামি দলের নেতা কাজী মোশারফ হোসেন চর বারুইটারী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানান।
চর বারুইটারী আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুকুল হাসান বলেন, আমি পত্রিকায় লাইব্রেরিয়ান বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। স্থানীয়রা আবেদন করেছে কিনা সেটা আমার জানার দরকার নেই। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি ঢাকায় পনেরো বছর থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের পড়াশুনা করেছি। সংবাদিকদের তিন পয়সাও দাম নেই আমার কাছে। যা লেখার লেখেন।
ভুরুঙ্গামারী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন বলেন, আমি পত্রিকায় লাইব্রেরিয়ান বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিজির প্রতিনিধি নেয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছি। নিয়োগ দিতে অনেক টাকা খরচ করতে হয় বিধায় আগাম প্রার্থীর কাছে কিছু টাকা নিতে হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সরকারি ও সিনিয়র মাদ্রাসা) মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply